প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বণ্টনে ‘দুর্নীতি’। কোটি কোটি টাকায় নয়ছয়! জলপাইগুড়ির মাল পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহাকে শেষপর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করল তৃণমূল। ‘মাল দিলে বহিষ্কার করত না’, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
টাকা নিয়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া, আবাস যোজনার টাকা তছরুপ, মার্কেটে দোকান বণ্টন। সঙ্গে অবৈধ নির্মাণে ছাড়পত্র দেওয়াও! মাল পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২০ কোটিরও বেশি টাকার আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টেও।
আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ জানান, ‘দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে, মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান পদে থাকা স্বপনকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তৃণমূল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে’। তাঁর কথায়, ‘এক দিকে গত লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল, তার উপর স্বপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে দুর্নীতির নানা অভিযোগ দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছে। সেই সব দিক বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘যাঁরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না’।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মালবাজারে মাল ঠিক মতো দেননি তাই বহিষ্কার করেছে! মাল দিলে বহিষ্কার করত না। হয়তো মাল একাই খাচ্ছিলেন, উপরে পাঠাচ্ছিলেন না’!
এদিকে তোলাবাজির অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুরসভার উপপ্রধান লখিন্দর মণ্ডলকে ফের নোটিশ পাঠাল কাটোয়া থানার পুলিস। আজ, মঙ্গলবার কাটোয়ার কাছারিপাড়ার উপপ্রধানের বাড়িতে দিয়ে তাঁর স্ত্রী শর্মিলা মণ্ডলের হাতে পুলিস নোটিস দিয়ে আসে। শর্মিলার দাবি, ‘পুলিশি হয়রানিতে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভরতি’।
ঘটনাটি ঠিক কী? কাটোয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলবাজির অভিযোগে অমিত মণ্ডল নামে এক ব্য়বসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই অমিত সম্পর্কে পুরসভার উপপ্রধার লখিন্দর মণ্ডলের ভাগ্নে। সেই সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপপ্রধানকে নোটিশ পাঠাচ্ছে পুলিস। এর আগে, চলতি মাসের ১৭, ১৯ ও ২০ তারিখও নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।