‘হট কেক’র মতো বিক্রি হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্টের টিকিট। দু’মাস আগে টিকিট বিক্রি শুরু হতেই চমকে গিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তারা। গত বারের থেকে এ বার টিকিটের চাহিদা সাড়ে পাঁচ গুণ বেশি।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে আসন্ন বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের টিকিট বিক্রি। প্রথম দিনেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ়ের টিকিটের চাহিদা দেখে আপ্লুত আয়োজকেরা। কোভিডের জন্য ২০২০-২১ মরসুমে এক লাখের বেশি আসনের মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসেছিলেন ৩০ হাজারের মতো ক্রিকেটপ্রেমী। তাই সে বারের টিকিট বিক্রির হিসাবকে ধরছেন না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তারা। তাঁরা টিকিটের চাহিদা বৃদ্ধির হিসাব করছেন ২০১৮-১৯ মরসুমের বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের সঙ্গে।
টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার দিনেই তুমুল চাহিদা তৈরি হওয়ায় তাঁরা উচ্ছ্বসিত। ২০১৮-১৯ মরসুমে বক্সিং ডে টেস্টের (২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর হয় এই টেস্ট) প্রথম দিন যত মানুষ খেলা দেখতে এসেছিলেন, এ বার তার তিন গুণ মানুষ টিকিটের জন্য আবেদন করেছেন। টেস্টের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ দিনের টিকিটের চাহিদা ছাপিয়ে গিয়েছে প্রথম দিনকেও। ২০১৮-১৯ মরসুমের তুলনায় মাঝের তিন দিনের টিকিটের চাহিদা এ বার সাড়ে পাঁচ গুণ বেশি। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে এত মানুষের আগ্রহ দেখে উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তা জোয়েল মরিসন বলেছেন, ‘‘বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ় নিয়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম। টিকিটের বিপুল চাহিদাই প্রমাণ করে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের ক্রিকেট নিয়ে মানুষের আগ্রহ কতটা। দ্রুত টিকিট বিক্রি হচ্ছে। শুধু বক্সিং ডে টেস্ট নয়, বাকি চারটি টেস্টের টিকিটের চাহিদাও বেশ ভাল। ক্রিকেটপ্রেমীরা মাঠে বসে অস্ট্রেলিয়া-ভারত লড়াই দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না।’’
টিকিটের চাহিদা ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে বেশি বলেও জানিয়েছেন মরিসন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের আগ্রহও আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে খুব উত্তেজক একটা সিরিজ় হবে আশা করছি আমরা। মাঠের পাশাপাশি গ্যালারিতেও ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।’’
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি। প্রথম ম্যাচ হবে পার্থে। পরের চারটি টেস্ট হবে যথাক্রমে অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন এবং সিডনিতে। টানা চারটি সিরিজ় জিতেছে ভারতীয় দল। তার মধ্যে দু’বার জয় এসেছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। এ বার জিততে মরিয়া প্যাট কামিন্সেরা।