ক্যুইন্টাল পিছু আড়াইশো টাকা কমিশন ও ন্যুনতম মাসিক আয় তিরিশ হাজার টাকা সুনিশ্চিত করার দাবীতে আন্দোলনে নামলো ওয়েস্ট বেঙ্গল এম.আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন ওই সংগঠনের আওতাভূক্ত জেলার সমস্ত রেশন ডিলার ও তাদের কর্মচারীরা বাঁকুড়া জেলা খাদ্য দফতরের শহরের স্কুলডাঙ্গা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
আন্দোলনরত ওয়েস্ট বেঙ্গল এম.আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশানের সদস্যদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য রাজ্যে যেখানে রেশন ডিলাররা ক্যুইন্ট্যাল পিছু ন্যুনতম আড়াইশো টাকা কমিশন পান, সেখানে এই রাজ্যে কমিশনের পরিমান মাত্র চুয়ান্ন টাকা। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
একইসঙ্গে রেশন কার্ড আধারীকরণের কাজ প্রতি ব্লকে খাদ্য দফতরের মাধ্যমে করা, শারীরিক অসুস্থ রেশন ডিলার পরিবারকে সহজ পদ্ধতিতে লাইসেন্স দেওয়া সহ বাস্তবোচিত ‘হ্যাণ্ডেলিং লস্’ দেওয়ার দাবী জানানো হয়। অবিলম্বে দাবী পূরণ না হলে আগামী ২ জানুয়ারী জেলার সমস্ত রেশন ডিলার একযোগে গণপদত্যাগ ও রিলে অনশনে বসার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন।
এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল এম.আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশানের রাজ্য কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিপ্লব মজুমদারের দাবী, স্বাধীনতার পর থেকে এই রাজ্যের রেশন ডিলাররা মাত্র চুয়ান্ন টাকা কমিশনে কাজ করছেন। যেখানে অন্য রাজ্যে কমিশনের পরিমান আড়াইশো টাকা। এই সামান্য টাকায় মাসে ২৬ দিন দোকান খোলা রেখে কখনই স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এর উপর দফতরের আধিকারিকরা প্রায়শই ডিলারদের ‘চোর’ সাজানোর চেষ্টা করেন। রেশন ডিলাররা যখন স্বচ্ছতার সঙ্গে রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে চাইছে তখন এক শ্রেণীর আধিকারিক রেশনে দুর্নীতি জিইয়ে রেখেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সংগঠনের জেলা কমিটির সম্পাদক গুরুপদ ধক বলেন, খাদ্য দফতরকে পরিস্কারভাবে জানানো হচ্ছে অবিলম্বে কমিশন বৃদ্ধি না হলে ২ জানুয়ারী থেকে জেলার সমস্ত রেশন ডিলার গণপদত্যাগ করবেন। একই সঙ্গে ওই দিন থেকে তারা জেলা খাদ্য দফতরের সামনে রিলে অনশন শুরু করবেন। এদিন জেলার ১২০০ ডিলার ও ডিলার পিছু গড়ে চার জন করে কর্মী এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে খাদ্য দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি।