রথযাত্রায় বৃক্ষরোপণ

৭ই জুলাই,রানাঘাট,নদিয়া।আজ ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর পক্ষ থেকে রথযাত্রার আয়োজন করা হয় নদিয়া জেলার বীরনগরের জয়পুর গ্রামে। পাশাপাশি এই উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ ও গাছ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিন ৩৩০ টি পরিবারের হাতে হিমসাগর ও আম্রপালি আম গাছের চারা এবং সবেদা গাছ তুলে দেওয়া হয়।

এদিন সকাল থেকেই ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর আয়োজকদের মধ্যে রথযাত্রা নিয়ে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অঞ্জলি মোদকের পৌরহিত্যে জগন্নাথ দেবের পূজার্চনা করা হয়।

পূজার্চনার পর দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির-এর প্রতিষ্ঠা সদস্য মিলন খামারিয়া রথযাত্রা ও বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,”ভক্তি ভরে প্রভু জগন্নাথের আরাধনা করে আমরা যেমন পাপমুক্ত হতে পারি তেমন বৃক্ষরোপণ করে আমরা ধরিত্রী মাতাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি। গাছ লাগাতে হবে আমাদের নিজেদের বাঁচাতে। পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীরাও ফল খেয়ে বাঁচুক, পৃথিবী সুন্দর হোক – এটাই আমাদের লক্ষ্য।”

দেশের মাটির অন্য সদস্য মোহন্ত শর্মা বলেন,”গাছ আমাদের কাছে সন্তানের মতো। আবার এই গাছই আমাদের কাছে ভগবান। প্রাচীন কাল থেকে আমরা গাছের পুজো ক’রে আসছি। আমাদের পূর্বপুরুষরা গাছের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই গাছপুজো করার নিদান দিয়ে গেছেন।”

এরপর একে একে সবার হাতে গাছ তুলে দেওয়া হয়। সমাজ সেবী অখিল মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল, রমা রায়, সুনীল বিশ্বাস – এরা একে একে বিভিন্ন মানুষের হাতে গাছ তুলে দেন। গাছ পেয়ে সবাই ভীষণ খুশী। গতবছর দেওয়া আমের গাছে ফল এসেছে এবছর – এটাও জানান অনেকে।

দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির এই কাজে সার্বিক সাহায্য করেন ডা: রমেন বিশ্বাস, ঊর্মিলা খামারিয়া, পারুল খামারিয়া, রাজেশ মোদক, অনীক মোদক ও আরও অনেকে।

বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ শেষ হলে জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে হাত লাগান সবাই। তারা প্রভুকে মাসির বাড়িতে রেখে আসেন। সবশেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.