অগ্নিকাণ্ডের পর তিন দিন কেটে গেলেও সোমবার, নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন বন্ধ রয়েছে অ্যাক্রোপলিস। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সমস্ত বাণিজ্যিক বিভাগ ও অফিস খুলবে, পুরোটাই ধোঁয়াটে। কর্তৃপক্ষ মল খোলার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের অগ্নি-নির্বাপন দফতরে।
অ্যাক্রোপলিসের দুটি ভাগ রয়েছে। একটি পাঁচতলা। প্রতিটিতেই মল। অপরটি ২২ তলা। এতে রয়েছে ৯৯টি অফিস এবং একটি টেরেসে রেঁস্তোরা। দুটি ভাগে পৃথক বিদ্যুৎ সংযোগ। সূত্রের খবর, মল-এর অংশ খোলার অনুমতি দেওয়ার আগে ইলেকট্রিক্যাল ইন্সপেক্টরকে দিয়ে অডিট করিয়ে নিতে হবে।
শুক্রবার আগুন লেগেছিল অ্যাক্রোপলিসের মল-অধ্যুষিত এই অংশে। বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি ফুলকি থেকে হঠাৎ আগুন লাগে। ফরেন্সিক রিপোর্ট এলে আগুনের সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অগ্নিকাণ্ডে মল-এর চতুর্থ তলের একাংশের বিশেষ ক্ষতি হয়েছে। অগ্নি-নির্বাপন দফতরের মহানির্দেশক জগমোহন জানিয়েছেন, “মল-এর নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে প্রথমে ‘অডিট’ বিদ্যুৎ দফতরের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইন্সপেক্টরকে দিয়ে ছাড়পত্র নিতে হবে। আমরাও পৃথকভাবে খতিয়ে দেখব।
জগমোহন এবং দমকলের অধিকর্তা অভিষেক পাণ্ডে ইতিমধ্যে অ্যাক্রোপলিস মল দেখে এসেছেন। জরুরি প্রস্থান পথে আবর্জনার স্তূপ ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। একইসঙ্গে মল কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার আগের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছেন তাঁরা।
অ্যাক্রোপলিসের একটি অফিসের এক কর্মী জানান, সোমবার তাঁদের অফিসে না এসে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন। মল-কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের যে অংশে বিভিন্ন অফিস আছে, সেই অংশের বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে।
অ্যাক্রোপলিস মল-এর অপারেশনের সিনিয়র ম্যানেজার কৃষ্ণ ঝাঁ বলেন, ‘মলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর জন্য আমরা অক্লান্ত চেষ্টা করছি। আগুনে যা ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামত করতে আমাদের অনেকটাই খরচখরচা করতে হবে। দমকলের নির্দেশ অনুসারে আমরা প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি এবং ক্যামেরা ফুটেজ দিয়েছি। একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমস্ত আইন মেনে চলব আমরা।’