KKR: বেঙ্গালুরুকে সাত উইকেটে হারিয়ে জয়ের সরণিতেই কলকাতা

 গত ২৩ মার্চ ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স চলতি আইপিএলের (IPL 2024) প্রথম ম্য়াচ খেলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (KKR vs SRH, IPL 2024) বিরুদ্ধে। রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে কেকেআর শেষ ওভারের সাসপেন্স থ্রিলারে চার রানে জিতে যায়। কেকেআর দ্বিতীয় ম্য়াচ খেলল রয়্য়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB vs KKR, IPL 2024) বিরুদ্ধে। শুক্রবার এম চিন্নাস্বামীতে (M Chinnaswamy Stadium, Bengaluru)
বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসল কেকেআর। ব্য়াক-টু-ব্য়াক জিতে ফ্য়ানদের মন ভালো করে দিল শ্রেয়স আইয়ার অ্যান্ড কোং। এদিন টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে আরসিবি তোলে ছয় উইকেটে ১৮২। জবাবে ১৯ বল হাতে রেখে কলকাতা সাত উইকেটে হেসেখেলে ম্য়াচ জিতে নেয়।

আরসিবির ইনিংস ছিল যেমন: বিরাট কোহলির সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ফাফ ছ’বলে মাত্র আট রান করে ফিরে যান। কেকেআরের গত ম্য়াচের নায়ক হর্ষিত রানার বলে তিনি লোপ্পা ক্য়াচ তুলে দেন মিচেল স্টার্কের হাতে। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ১৭ রানে ভেঙে যায় বিরাট-ফাফ যুগলবন্দি। তিনে নামা ক্য়ামেরন গ্রিন এবার সঙ্গী হন বিরাটের। ৪২ বলে ৬৫ রান যোগ করেন বিরাট-গ্রিন। ২১ বলে ৩৩ রান করে ডাগআউটে ফেরেন অজি অলরাউন্ডার। আন্দ্রে রাসেল তাঁকে বোল্ড করে দেন। চারে নেমে গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল ১৯ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন। যদিও ম্য়াক্সওয়েল এদিন আগেই ফিরে যেতেন। সুনীল নারিন লোপ্পা ক্য়াচ ফেলে দেন। সেই নারিনই ম্য়াক্সওয়েলকে ফেরান। অজি মারকুটে ব্য়াটার ক্য়াচ আউট হয়ে যান। পাঁচে ও ছয়ে নামা রজত পতিদার ও অনুজ রাওয়াত চূড়ান্ত হতাশ করেন। দু’জনের অবদানই তিন রান করে। ভাগ্য়িস কোহলি একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। নাহলে আরসিবি-র অবস্থা খুব শোচনীয় হত। সাতে নেমে দীনেশ কার্তিক আবার মাতিয়ে দেন ম্য়াচ। ৮ বলে ২০ রানের ক্য়ামিয়ো ইনিংস খেলেন তিনি। অন্তিম লগ্নে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। দীনেশ আসাতেই আরসিবির রানের পালে কিছুটা হাওয়া লাগে। আরসিবি-রানের সিংহভাগই করেছেন তাদের প্রাক্তন অধিনায়ক ও আরসিবি মহারথী বিরাট। ৫৯ বলে ৮৩ রানের ইনিংস তিনি সাজান চারটি চার ও চারটি ছক্কায়। ১৪০.৬৭-এর স্ট্রাইক রেটে ব্য়াট করে চিন্নাস্বামী মাতিয়ে দিয়েছেন তিনি।

কেকেআরের ইনিংস ছিল যেমন: পাল্টা দেওযার কাজটা দারুণ ভাবে শুরু করেছিলেন কেকেআরের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। ইংল্য়ান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক জুটি ঠিকই করে নিয়েছিলেন যে, তাঁরা কোনও বোলারতে রেয়াত করবেন না। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভার তাঁরা চেটেপুটে উপভোগ করেন। সাত ওভারে নারিন-সল্টে উঠে যায় ৮৬ রান। ২২ বলে ৪৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস নারিন সাজান জোড়া চার ও পাঁচ ছক্কায়। ময়াঙ্ক ডাগারের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর আরসিবি তুলে নেয় মারকুটে সল্টকে। বিজয়কুমার বিশকের বলে তিনি গ্রিনের হাতে তুলে দেন ক্য়াচ। ২০ বলে ৩০ করে ফেরেন কেকেআরের নয়া রিক্রুট। পরপর দুই ম্য়াচেই সল্ট কিন্তু নিজের ছাপ রাখলেন। এদিন জোড়া চার ও জোড়া ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপর দুই আইয়ার (ভেঙ্কটেশ ও শ্রেয়স) কেকেআরের জয়ের পথ প্রশস্ত করেন। ভেঙ্কটেশ ৩০ বলে ৫০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ফিরে যান। যশ দয়ালের বলে পুল করতে গিয়ে তিনি একেবারে বাউন্ডারি লাইনে কোহলির হাতে লোপ্পা ক্য়াচ তুলে দেন। এরপর রিঙ্কু নামেন পাঁচে, করেন পাঁচটি রানও। শ্রেয়স ২৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দুয়ে মিলে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.