গ্রামবাসীরা বহুদিন ধরে এক পাথরখণ্ডকে ভগবান বলে পুজো করছিলেন, হঠাৎই জানা গেল, সেটি পাথর-টাথর নয়, ডাইনোসরের ডিম! তবে ফসিলাইজড। মানে, জীবাশ্ম। নর্মদা উপত্যকায় তিন বিজ্ঞানীর এক ওয়ার্কশপের মাধ্যমে এই তথ্যটি বেরিয়ে এসেছে।
গ্রামবাসীরা বহুদিন ধরে কিছু না জেনেই ওই পাথরখণ্ডকে ভগবান বলে পুজো করে আসছিলেন। এটা ছিল তাঁদের পারিবারিক দেবতা। শিবরাম চক্কোত্তির দেবতার জন্ম গল্পটি এক্ষেত্রে মনে পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। একটি পাথরকে গাছের তলায় রেখে সিঁদুর লেপে ক্রমে তার ‘ডিটিফিকেশন’ ঘটানো হয়েছিল। ক্রমে তা এতই প্রভাব বিস্তারকারী বিষয় হয়ে গিয়েছিল যে, এলাকার মানুষজন ভক্তিভরে সেই পাথরকে নিত্যদিন প্রণাম করতে শুরু করেন। গল্পকার দেখাতে চেয়েছিলেন কীভাবে দেবতার জন্ম হয়!
এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। গোলাকৃতি একটি জীবাশ্ম-পাথরকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হচ্ছিল। ক্রমে আবিষ্কৃত হল যে, সেটি সাধারণ কোনও পাথর নয়। ডাইনোসরের ডিম!
প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার ব্যাসের এই পাথরটিকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন পুজো দিতে এসে নারকোল উৎসর্গ করতেন এখানে। তাঁরা এখন বিস্মিত!