বিশ্বকাপ ফাইনালে হতাশ করেছে ভারতীয় ব্যাটিং। শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়ারেরা রান করতে পারেননি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল রান করলেও তাকে বড় রানে নিয়ে যেতে পারলেন না। খারাপ সময়ে আউট হয়ে গেলেন। কিন্তু যদি কোনও ক্রিকেটার সব থেকে বেশি হতাশ করলেন, তিনি সূর্যকুমার যাদব। তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরনই বোঝা গেল না। দায়িত্ব ছিল ভারতীয় ইনিংসকে টেনে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেটা তো পারলেনই না, উপরন্তু সময় নষ্ট করলেন। তার পর এমন সময়ে আউট হয়ে গেলেন যে দল ২৫০-র গণ্ডিও পেরাতে পারল না।
রবীন্দ্র জাডেজা আউট হওয়ার পরে ব্যাট করতে নামেন সূর্য। তখন ভারতের রান ৩৫.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান। অর্থাৎ, হাতে ছিল ১৪ ওভার। ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ায় লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দলকে টানার দায়িত্ব ছিল সূর্যের কাঁধে। রাহুল আউট হওয়ার পর তো সবটাই তাঁর উপর নির্ভর করছিল। কিন্তু কী করলেন সূর্য?
যখন নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে সূর্য ব্যাট করছিলেন, তাঁর উচিত ছিল তাঁদের সামলে খেলা। অর্থাৎ, ওভারের প্রথম কয়েকটি বল নিজে খেলা। চেষ্টা করা তার মধ্যে বড় শট খেলা। যাতে কিছু রান হয়। তার পরে ওভারের শেষ দু’টি বলের মধ্যে সিঙ্গল নিয়ে পরের ওভারের শুরু থেকে খেলা। তা হলে হয়তো আরও বেশি রান করত ভারত। নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে যখন কোনও বিশেষজ্ঞ ব্যাটার খেলেন তখন সেটাই দস্তুর। বিশ্ব ক্রিকেটে সেটাই দেখা যায়। কিন্তু আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দেখা গেল তার উল্টো।
প্রতি ওভারের শুরুতে সিঙ্গল নিয়ে অপর প্রান্তে চলে গেলেন সূর্য। ফলে কখনও মহম্মদ শামি, কখনও কুলদীপ যাদব, কখনও যশপ্রীত বুমরাদের খেলতে হল। তাঁরা বল নষ্ট করলেন। ফলে যা রান হওয়ার কথা ছিল তার থেকে কম রান হল।
আবার যখন মারার সুযোগ পেলেন, খালি পিছনের দিকে খেলার চেষ্টা করলেন সূর্য। ঠিক যেমনটা টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায়। কিন্তু আমদাবাদের উইকেট অনেক মন্থর। তার পরে অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা কাটার করছিলেন। ফলে বলে কোনও গতি ছিল না। সেই কারণে নিজের পছন্দের শট খেলতে পারছিলেন না সূর্য। কিন্তু তার পরেও বার বার একই শট খেলার চেষ্টা করলেন। সেটা করতে গিয়েই আউটও হলেন। করলেন ২৮ বলে মাত্র ১৮ রান। তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন বোঝা গেল না। দেখা গেল না কোনও পরিকল্পনা। তা হলে কি সূর্য শুধুই টি-টোয়েন্টি সুন্দর। উঠছে প্রশ্ন।