‘নাটক আমরা বানচাল করে দেব’। দিল্লিতে এবার তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচির ভাবনা বিজেপির। আজ, রবিবার রাজধানীতে বৈঠকে বসছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা-সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। থাকবেন ৪ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। জরুরি তলব পেয়ে দিল্লির পথে সুকান্ত মজুমদার-সহ বাংলার সাংসদরা।
একশোর দিনের বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে ‘মিশন দিল্লি’। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল বিশেষ ট্রেন, এমনকী প্লেন!তাহলে? সড়কপথে ৫০ বাসে চেপে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ‘বঞ্চিত’রা। আগামীকাল সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হবেন তাঁরা।
এদিকে বাঁকুড়ায় দেওয়াল ধসে প্রাণ গিয়েছে এক বৃদ্ধা ও ৩ শিশুর। এদিন দিল্লি যাওয়ার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘এই মৃত্যুর দায় নরেন্দ্র মোদী, গিরিরাজ সিং আর এখানকার বিজেপি নেতাদের। এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না’? তিনি বলেন, আমি রাজ্য প্রশাসনকে অনুরোধ করব ওই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত। যারা কথায় কথায় হাইকোর্টে পিআইএল করে, এখন পিআইএল তো আর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নয়, পলিটিক্যাল ইন্টারেস্ট লিটিগেশন হয়ে গিয়েছে। তাদের বলব, একশো দিনের টাকা কেন বন্ধ, আবাসের টাকা কেন বন্ধ এনিয়ে গত ২ বছরে একটাও পিআইএল হয়নি কেন? যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু জোর জবরদস্তি করে টাকা আটকে রাখা হয়েছে কেন’?
চুপ করে বসে নেই বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা সাংসদরা গিয়ে, আমাদের যে মাননীয়া গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আছে, তার সঙ্গে অথবা তার প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল ১০০ দিনের কাজে কী পরিমাণ টাকা নয়ছয় করেছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কী পরিমাণে দুর্নীতি ও চুরি করেছে, এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরব। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘তৃণমল যে নাটক করতে গিয়েছে, নাটক আমরা বানচাল করে দেব’।
এর আগে, অক্টোবর কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সময় দিলেন না তিনি। ‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী পালিয়ে যাচ্ছেন’, এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।