লেনিনের এত মূর্তি রেখে লাভ কী? আমাদের জীবনে কি অবদান আছে লেনিনের? রবি ঠাকুর বিবেকানন্দের মূর্তি বানাবো: সুকান্ত

পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত। একথা আগেই বলে সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এবার সুকান্তর মুখেও কলকাতার মূর্তি নিয়ে একই কথা শোনা গেল। তিনি মনে করিয়ে দেন, ব্রিটিশদের স্মৃতি সৌধ ভেঙ্গেছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। যারা বলছেন এটা করার কোনো অর্থ হয় না তারা কি বলবেন নেতাজিও ভুল করেছিলেন? তার কথায়, লেনিনের যে এত মূর্তি, কি অবদান আছে লেনিনের? লেলিনের সঙ্গে ভারতের আত্মার যোগ নেই। তার থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় মূর্তি বানাবো। আমরা মূর্তি বানাবো বিবেকানন্দ, রাজা রামমোহনের, এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

রবিবার সুকান্ত বলেন, পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত। যে দোষে আপনারা বিজেপিকে বা দিলীপ ঘোষকে দোষী করছেন সেই দোষে কি দোষী নেতাজিও? সিঙ্গাপুরে নেতাজি ইংরেজদের একটি স্মৃতি সৌধ ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। তাহলে কি নেতাজিও ভুল কাজ করেছিলেন? পরাধীন মানসিকতাকে ভাঙতে হবে। লেনিনের এত বড় মূর্তি দেখা যায়। আপনার জীবনে লেনিনের কি অবদান রয়েছে আমার জীবনে তো নেই। আমার পূর্বপুরুষের জীবনে লেনিনের কোনো অবদান ছিল না। কোনো দরকার নেই এগুলো থাকার। তার থেকে বড় মূর্তি বানাবো রবীন্দ্রনাথের। অথচ আমার শহরে সবচেয়ে বড় মূর্তিটা লেনিনের।

সুকান্ত মজুমদারের আগে প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কোথাও ব্রিটিশ কোথাও মুঘল, কোথা পর্তুগিজ। যারা আমাদের দেশকে পরাধীন করে রেখেছিলেন তাদের কোনো স্মৃতিচিহ্ন ভারতে থাকবে না। কোনো বাপের ব্যাটার হিম্মত থাকলে রুখে দেখাক। কলকাতার রাস্তাঘাটে বহু ব্রিটিশ মূর্তি ছিল একটা দুটো এখনো রয়েছে। সব উপরে ফেলবো আমরা। এসব মূর্তি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রাখা হবে। বিজেপি একবার ক্ষমতায় আসুক। গোলামির চিহ্ন রাস্তায় থাকবে না। আমাদের ছেলেপুলেরা সকালে উঠে ওদের মুখ কেন দেখবে?

আজ “মেরি মিট্টি মেরা দেশ” কর্মসূচিতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে মেরি মিট্টি মেরা দেশ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে অমৃত বাটিকা উদ্যান তৈরি হচ্ছে। সেখানেই থাকবে এই মাটি। রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছে যান। জোড়াসাঁকো ছাড়াও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাড়ি, কালীঘাটের মন্দির থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল্লিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে দিল্লিতে অমৃত উদ্যান তৈরি করা হচ্ছে তার জন্য সারা দেশের বিভিন্ন গ্রামের, শহরের মাটি এ রাজ্যে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.