বাঁকুড়া জেলায় ত্রিশঙ্কু ১৮টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে অনিশ্চয়তা

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর জেলার ১৮টি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি এই পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠনের চেষ্টায় রয়েছে। বোর্ড গঠন করতে হলে সিপিএম বা নির্দলের সমর্থন ছাড়া তা সম্ভব নয়। যদিও তৃণমূল ও বিজেপি দুই রাজনৈতিক দল জানিয়ে দিয়েছে তারা অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হাত মেলাবেন না। যদি দুই দলই এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তবে টসেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে এই সব পঞ্চায়েতেগুলির।

বাঁকুড়ার ১ নং ব্লকের আন্দারথোল, জগদল্লা-১, কেঞ্জাকুড়া, বাঁকুড়া-২নং ব্লকের পুরন্দরপুর, ছাতনার জামতোড়া, জিড়রা, মেটালা ও তেঘরি, গঙ্গাজলঘাঁটির ভক্তাঁবাধ, বড়জোড়ার বৃন্দাবনপুর, বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা, রানীবাঁধের অম্বিকানগর, পুড্ডি, ইন্দপুরের ব্রজরাজপুর, খাতড়ার ধনাড়া ও দহলা, রাইপুরের শ্যামসুন্দরপুর, সিমলাপালের বিক্রমপুর পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে।

ইতিমধ্যেই অযোধ্যা গ্ৰাম পঞ্চায়েতে এক বিজেপি প্রার্থীকে নিজেদের দলে টেনে নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত দখল করেছে। ১২আসনের অযোধ্যা পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৬টি, বিজেপি ৫টি আসন পায়, একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়। ভোট গণনার পরদিনই বিজেপির জয়ী প্রার্থী সলমা মুর্মু তৃণমূলে যোগ দেন। যার ফলে তৃণমূল নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা লাভ করে। এখন ও বাকি ১৭টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে নির্দল বা সিপিএমের সর্মথন প্রয়োজন।

নির্বাচনে দলীয় টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীদের কোনও মতেই দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না বলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঘোষণা করলেও পঞ্চায়েত দখল করতে সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হবে তা আগামী
দিনেই বোঝা যাবে।

অপরদিকে বিজেপির বাকুঁড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডল পরিষ্কার জানান বোর্ড গঠন করতে সিপিএম বা অন্য কোনও দলের সাথে হাত মেলাবে না বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.