গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল বিক্রি শুরু করল ডাক বিভাগ

এবার থেকে ডাক বিভাগের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরের পবিত্র গঙ্গাজল পৌঁছে যাবে সমগ্ৰ ভারতবর্ষের আম জনতার কাছে।

সোমবার গুরু পূর্ণিমার দিনে এর শুভ সূচনা হল কলকাতা জিপিও- র শিউলি দি পার্সেল ক্যাফেতে। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল (এম এম) ও বি ডি (রিজিয়ন) অনিল কুমার মহাশয় ও পি এম জি (কলকাতা রিজিয়ন) সঞ্জীব রঞ্জন।

প্রাথমিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত প্রধান ডাকঘর থেকে সংগ্ৰহ করা যাবে গঙ্গাসাগরের ২৫০ মি. লি গঙ্গাজল, মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে। এছাড়া আন্দামানে পোর্ট ব্লেয়ার ও সিকিমের গাংটকেও পাওয়া যাবে এই প্রবিত্র জল। আগেও ডাক বিভাগ গঙ্গোত্রীর গঙ্গাজলের পরিষেবা চালু করেছিল যা আজও বিদ্যমান।

পার্সেল ডেলিভারি, স্ট্যাম্প ও পোস্টেজ বিক্রি এবং সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আয় করে থাকে ডাক বিভাগ। যদিও সেভিংস অ্যাকাউন্ট বাবদ যে অর্থ জমা পড়ে সেটি অর্থমন্ত্রকের আওতায় পড়ে। তবে সেই বাবদ কিছু কমিশন নেয় ডাক বিভাগ। এর পাশাপাশি জীবন বিমা, পোস্টাল লাইফ ইনসিওরেন্স বিক্রির মাধ্যমে আয় করে থাকে ডাক বিভাগ। সারা ভারতে প্রায় ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ডাকঘর রয়েছে। এই ডাকঘরের প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানোর জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মীও রয়েছে। সব মিলিয়ে এরজন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয় যোগাযোগ মন্ত্রককে। তাই বিকল্প আয়ের কথায় চিন্তাভাবনা করছে ডাক বিভাগ।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গঙ্গাজলের মতোই গঙ্গাসাগরের জলও একই পদ্ধতিতে বিক্রি করা হবে। সাধারণত ২৫০ মিলিলিটার জল বাবদ ৩০ টাকা করে নিয়ে থাকে ডাক বিভাগ। অনলাইনে অর্ডার করলে তাতে খরচ পড়ে ১২১ টাকা। ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রায় ৭ লক্ষ ২৩ হাজার গঙ্গাজলের বোতল বিক্রি হয়েছে। তাতে কয়েক কোটি টাকা আয় হয়েছে। গঙ্গাসাগরের জল বিক্রি হলে সেই আয় আরও কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন ডাক বিভাগের আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.