Kedarnath Temple Scam: সোনার পিত্তলমূর্তি? কেদারনাথ মন্দিরে কোটি কোটি টাকার সোনা-কেলেঙ্কারি..

 নয় নয় করে ১২৫ কোটি টাকা। মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো অঙ্ক। সম্প্রতি কেদারনাথ মন্দিরের এক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে তোড়পাড় দেশ। এক ভক্তের দানে কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালে সেনার পাত বসানোর কথা ছিল। বসানোও হয়েছিল। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, তা মোটেই সোনার নয়, হদ্দ পিতল! তাহলে কোথায় গেল কোটি কোটি টাকার সোনা?

এই কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরাখণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে আরম্ভ করেছেন বিরোধীরা। এদিকে সরকার মন্দিরের এই ঘটনা নিয়ে অযথা রাজনীতি না করতে বলেছে বিরোধীদের। উত্তরাখণ্ডের ট্যুরিজম রিলিজিয়ন অ্যান্ড কালচার মিনিস্টার সতপাল মহারাজ কালচার অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ারের সচিব হরিচন্দ্র সেনওয়ালকে বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সতপাল পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, বিষয়টি তাঁদের কাছে ‘এক্সট্রিমলি সেনসিটিভ’।

জানা গিয়েছে, ১৯৩৯ সালের শ্রীবদ্রীনাথ-কেদারনাথ টেম্পল কমিটি অ্যাক্ট অনুসারে মন্দিরগাত্রে গোল্ড-প্লেটিংয়ের কাজ হয়েছে। মন্দির কমিটি এই কাজের সূত্রে দান গ্রহণ করেছিল। দান গ্রহণের পরে তারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ক প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহ করেছিল। পুরো কাজটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। সূত্রের খবর, এই পুরো বিষয়টির সঙ্গে কেদারনাথ মন্দির কমিটির কোনও প্রত্যক্ষ সংযোগ ছিল না। কাজটি সম্পন্ন হওয়ার পরে দাতা  প্রয়োজনীয় বিল ও সমস্ত কাগজপত্র মন্দির কমিটির কাছে জমা করেছিলেন।  

আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ! বিজেপি বিধায়কের ‘কুকীর্তি’র ভিডিয়ো ভাইরাল

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল সোনাল প্রলেপের জন্য মোট ২৩,৭৭৭ গ্রাম সোনা ব্যবহার করা হয়েছিল। সোনার জলের আস্তরণ বা গোল্ড প্লেটিংয়ের কাজের জন্য ব্যবহৃত তামার প্লেটের ওজন ছিল ১০০১ কেজি। সব মিলিয়ে মোট ১২৫ কোটি টাকার মূল্যের কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.