দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরে বার্মিংহ্যামের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংরেজ পেসারের দাবি, ইংল্যান্ডের মাটিতে এত মন্থর পিচ তিনি আগে দেখেননি। অথচ সেই পিচেই তৃতীয় দিন সকাল থেকে দাপট দেখালেন ইংল্যান্ডের পেসাররা। নেপথ্যে, সেই বাজ়বল। শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও যে সেই পরিকল্পনা ব্যবহার করা যায় তা দেখালেন বেন স্টোকসরা। ফলে তৃতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই শেষ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। ৭ রানের লিড নিল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের থেকে ৮২ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। উসমান খোয়াজা ১২৬ ও অ্যালেক্স ক্যারে ৫২ রানে ব্যাট করছিলেন। তৃতীয় দিনের শুরুটাও ভালই করেন দুই ব্যাটার। নির্দিষ্ট গতিবেগে রান উঠছিল। খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডরা। তার মাঝেই অ্যান্ডারসনের বল ক্যারের ব্যাটে লেগে উইকেটরক্ষকের কাছে যায়। সেই ক্যাচ ছাড়েন বেয়ারস্টো। প্রথম ঘণ্টার বাকিটা সাবধানে খেলে পার করে দেন খোয়াজা ও ক্যারে।
বিরতির পরে অবশ্য বদলে গেল ছবি। প্রথমেই ৬৬ রানের মাথায় ক্যারের ব্যাট ও পায়ের ফাঁক দিয়ে বল গলিয়ে দিলেন অ্যান্ডারসন। বল গিয়ে লাগল উইকেটে। তার পরেই ফিল্ডিংয়ে বদল করলেন স্টোকস। খোয়াজার বিরুদ্ধে সামনে উইকেটের দু’দিকে ছ’জন ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে দিলেন তিনি। যে কোনও ব্যাটার ভাবতে বাধ্য যে বাউন্সার আসবে। কিন্তু ওলি রবিনসন করলেন ইয়র্কার। ১৪১ রানের মাথাতেও সেই বল ছুঁতে পারলেন না খোয়াজা। বোল্ড হয়ে ফিরলেন।
নীচের সারির ব্যাটারদের সামনে আবার অন্য পরিকল্পনা করলেন স্টোকস। ব্যাটের সামনেই দু’জন ফিল্ডার। বাঁ দিকে বাউন্ডারিতে আরও তিন জন। ক্রমাগত শর্ট বল করে গেলেন রবিনসন, ব্রড। তার ফল পেল ইংল্যান্ড। মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে আউট হলেন নেথান লায়ন। স্কট বোলান্ড আবার বাউন্সার ঠেকাতে গিয়ে উইকেট দিয়ে ফিরলেন। শেষে বাধ্য হয়ে বড় শট মারতে গিয়ে ৩৮ রান করে আউট হলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগেই ৩৮৬ রানে অলআউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ব্রড ও রবিনসন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। মইন আলি ২ এবং স্টোকস ও অ্যান্ডারসন পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৭ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকে ব্যাট করতে নামবে ইংল্যান্ড।