ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে ফের লুঠপাট ট্রেনে (Train)। কলকাতা-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেসে সর্বস্ব খোয়ানো যাত্রী এসএসকেএমের (SSKM) কর্মী সুপ্রিয় দেবনাথ। ঝাঁঝা স্টেশনে ট্রেন থেকে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে রেল পুলিশ।
হাসপাতালে ভরতি থাকার দু’দিন পর জ্ঞান ফিরলে সুপ্রিয় দেবনাথ পুলিশকে জানান, তাঁর ব্যাগ খোয়া গিয়েছে। যাতে চারটি সোনার আংটি, একটি সোনার চেন ও নগদ ৫ হাজার টাকা ছিল। কলকাতা স্টেশন থেকে দুর্গাপুর আসার জন্য বৃহস্পতিবার তিনি ট্রেনে চড়েছিলেন। অভিযোগ, সেই ট্রেনে রিজার্ভেশন না থাকা সত্বেও দুই যাত্রী তাঁর পাশে বসেন। গল্প করতে শুরু করেন। এরপর ট্রেনটি বর্ধমান পৌঁছতেই একজন ট্রেন থেকে নেমে ঠান্ডা পানীয় নিয়ে আসেন। একটি তাঁকেও দেয়। যে ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার পর অচৈতন্য হয়ে পড়েন সুপ্রিয়বাবু। এরপর দুর্গাপুর পৌঁছে গেলেও তিনি অচৈতন্য হয়ে ছিলেন। ফলে ট্রেন থেকে নামতে পারেননি। ঝাঁঝা রেল পুলিশ খবর পেয়ে ট্রেন থেকে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। দু’দিন পর জ্ঞান ফিরলে তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান।
এর আগেও কলকাতা স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়া এক যুবককে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে লুঠ করে ছিল সর্বস্ব। এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানীয়তে মাদক মেশানো নিয়ে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে বেশ কিছুদিন ধরে স্টেশন ও ট্রেনে অপরাধের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন রেল। ইদানীং রেল পুলিশ সাধারণ অপরাধে অভিযুক্তদের ধরপাকড় বন্ধ রেখেছে ঊর্ধ্বতনের নির্দেশেই বলে জানা গিয়েছে। ফলে রেল চত্বর ও স্টেশনে ফের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মাথাচারা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জিআরপি এক আধিকারিকের কথায়, বহু ক্ষেত্রে অপব্যবহার করা হচ্ছে আইনের। সেই কারণেই পুলিশ আইনের ৩৪ ধারার মতো অপরাধীদের আর ধরা হচ্ছে না।