ভিজবে উত্তর কিন্তু পুড়বে দক্ষিণ। সোমবার থেকে হাওয়া বদল দক্ষিণে। তার আগে তাপপ্রবাহে জ্বলবে পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলা। দক্ষিণের বাকি জেলাতেও অস্বস্তিসূচক চরমে থাকায় তৈরি হবে প্রায় তাপপ্রবাহের অনুরূপ পরিস্থিতি।
থমকে বর্ষা
বাংলায় বর্ষার প্রবেশ করলেও মালদায় থমকে আছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তবে রবিবার বিকেলের পর সে এগোবে। ১৯ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে সে ফের সক্রিয় হতে পারে। তাই এই সময়ের মধ্যেই দক্ষিণের মানুষের কাছে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অত্যন্ত উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি।
উত্তরবঙ্গে
শুক্রবার ও শনিবার থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। ১৭ জুন শনিবার পর্যন্ত। শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে ল্যান্ড স্লাইড হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ও তীব্রতা কমবে উত্তরবঙ্গে। তবে পার্বত্য পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে।
দক্ষিণবঙ্গ
রবিবার বিকেল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। বাকি জেলাতেও গরম এবং চুড়ান্ত অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মাঝে মাঝে প্রাক বর্ষার সামান্য বৃষ্টি স্বস্তি ফেরাতে ব্যর্থ হবে।
প্রাক বর্ষার বৃষ্টি কবে কোথায়?
শুক্রবার ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলাতে।
কলকাতা
কলকাতায় গরম ও আর্দ্রতাজনিত চূড়ান্ত অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে রবিবার বিকেল পর্যন্ত। বেলা যত বাড়বে; অস্বস্তি ততটাই বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প অত্যধিক বেশি থাকায় অস্বাভাবিক বেশী ঘাম হবে। বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি পিছু ছাড়বে না।
তাপমাত্রার পরিসংখ্যান
কলকাতা শহরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৩০.৭ থেকে বেড়ে ৩১.২ ডিগ্রি হয়। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। কাল দিনের তাপমাত্রা ৩৮.১ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ৩৮.৩ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। অর্থাৎ খাতায় কলমে কাল তাপপ্রবাহের অনুরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল কলকাতা। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ ৯০ শতাংশ। কাল বৃষ্টি পায়নি কলকাতা।
ভিন রাজ্যে
হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এমনকি ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে রাজস্থানে। ভারী থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।
প্রচন্ড তাপপ্রবাহ চলবে ছত্রিশগড়, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানাম এলাকায়। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে আগামী কয়েক দিন উত্তর প্রদেশ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ এবং তেলেঙ্গানাতে।