মোদির (PM Narendra Modi) ভারতে শিক্ষায় গেরুয়াকরণের অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। গত কয়েক মাসে এনসিইআরটি-র (NCERT) নির্দেশিকা মেনে বদল এসেছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে। বাদ পড়েছে মুঘল যুগ, ডারউইনের বিবর্তনবাদ, নারী আন্দোলনের ইতিহাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই অবস্থায় ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর একচেটিয়া কর্তৃত্বের বিরোধিতা করে এনসিইআরটি অনুমোদিত বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকের ৩৩ জন লেখক অব্যহতি চাইলেন।
গোটা বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে এনসিইআরটি-র ডিরেক্টর ডিপি সাকলানিকে চিঠি লিখেছেন ওই ৩৩ জন শিক্ষাবিদ। ‘পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন কমিটি’র (TDS) সদস্যদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এনসিইআরটি একতরফা ভাবে পাঠ্যপুস্তকগুলির পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ওই বইগুলি যে আমাদের সম্মিলিত সৃজনশীল প্রচেষ্টায় ফল, তা দাবি করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে এখন।” গোটা বিষয়টি উদ্বেগের বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। এই পরিস্থিতিতে ‘পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন কমিটি’ (টিডিসি) থেকে তাঁদের বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই ৩৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ২০০৫-০৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকগুলির প্রধান উপদেষ্টা যোগেন্দ্র যাদব এবং সুহাস পালসিকরও।
উল্লেখ্য, এনসিইআরটির নির্দেশেকা মেনে বিভিন্ন ক্লাসের পাঠক্রমে পরিবর্তন এলেও তা রুটিন বদল বলেই দাবি করেছে কেন্দ্র। এইসঙ্গে পড়ুয়াদের উপর চাপ কমানোর যুক্তিও দেওয়া হয়েছে। যদিও বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে, বিজেপি সঙ্গীর্ণ ধর্মীও এবং রাজনৈতিক স্বার্থে একের পর এক সিলেবাসে বদল ঘটাচ্ছে। পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমানো আসলে ছদ্ম যুক্তি। শিক্ষায় গেরুয়াকরণের পথেই এগোচ্ছে মোদি সরকার।