ভাবনায় লোকসভা এবং চার বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, মন্ত্রী বদল করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী

লোকসভা এবং চার বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দল ও মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়ে ভাবছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

গত সোম ও মঙ্গলবার দলের সদর দফতরে ওই রদবদল প্রসঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন দলের সভাপতি জেপি নড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। লোকসভা নির্বাচনের এক বছরও বাকি নেই। তাই দল মন্ত্রিসভায় দ্রুত রদবদলের পক্ষে। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বিদেশ সফরে রয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দেশে ফেরার কথা। তিনি ফিরলেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

সূত্রের মতে, দু’দিনের বৈঠকে মন্ত্রিসভার ওই রদবদলে ‘বিগ ফোর’ (স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও অর্থ মন্ত্রক)-এ কোনও ধরনের পরিবর্তন নিয়ে সেই অর্থে আলোচনা হয়নি। তবে নগরোন্নয়ন তথা পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরির কাজে দল খুশি নয়। ফলে তিনি দায়িত্ব হারাতে পারেন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুরোধ-উপরোধে কান দেন না তিনি, দলে তা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। মন্ত্রক হারাতে পারেন ওড়িশা থেকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। তেলের দামে জর্জরিত মানুষকে বার্তা দিতে পুরীকে ‘বলি’ দেওয়া হচ্ছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে দলে। কোপ পড়তে পারে ক্রীড়া এবং কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের উপরে। কুস্তিগিরদের বোঝাতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিলেও গত বছর অনুরাগের নিজের রাজ্য হিমাচলে পরাজয়ের পর তাঁর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল দলে। আর কুস্তিগিরদের শান্ত করতে খোদ অমিত শাহকে যে আসরে নামতে হয়েছে, এ কথাও অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন। এ ছাড়া বেশ কিছু মন্ত্রীকে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সংগঠনের দায়িত্বে নিয়ে আসার কথা ভাবা হয়েছে। তেমনি মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের শিবসেনা, বিহারের এলজেপি থেকেও বেশ কিছু নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রিসভার মতো রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গনার মতো রাজ্যগুলিতেও বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রদবদলের কথা ভাবা হচ্ছে। কর্নাটকে হারের কারণে সে রাজ্যে প্রদেশ সভাপতি নলিন কাটিলকে সরিয়ে নতুন কোনও তরুণ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। কর্নাটকের নেতা সি টি রবিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানোর বিষয়ে জল্পনা রয়েছে। পরিবর্তে গুজরাতের বিজেপি সভাপতি সি আর পাটিলকে ওই পদে নিয়ে আসার কথা ভাবা হয়েছে। ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের দায়িত্ব কোন নেতাদের হাতে থাকবে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। লোকসভার কথা মাথায় রেখে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তালিকাতেও কিছু নতুন মুখ আনার বিষয়েও ভাবছে দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.