বাড়িতে জানত সবাই। বিয়ের জন্যও রাজি ছিল। কিন্তু তার পরও কেন এভাবে বাড়ির তরতাজা ছেলে গলায় দড়ি দিল তা ভাবে কুলকিনারা করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। সোমবার সকালে ওঠে দেখেন গালায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বাড়ির ছেলে। এনিয়ে তোলপাড়া পাড়া। ভিডিয়ো কল করতে করতে আত্মঘাতী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বগখালি নস্করপাড়ার বাসিন্দা আকাশ নস্কর।
বয়স ২১। বিদ্যানগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কোভিডের সময়ে কলেজেই সায়নী মণ্ডল নামে এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আকাশ। পরিবারের লোকজনের দাবি গতরাতে সায়নীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলতে বলেতেই আত্মঘাতী হয় আকাশ। এমনটাই দাবি পরিবারের।
একটি আলাদা ঘরে ঘুমাতো আকাশ। সকালে উঠে বাড়ির লোকজন দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সে। সায়নীর বাড়ি কোথায় কেউ তা জানে না। তবে বিষ্ণুপুর থানা এলাকাতেই তার বাড়ি। ছেলের মৃত্যুর পর সায়নীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আকাশ নস্করের বাবা মিন্টু নস্কর। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিস।
মৃতের পিসি বলেন, ওদের সম্পর্কের কথা জানতাম। সবে একুশো পা দিয়েছে। ওকে বিয়ের কথাও জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ও বলেছিল, পড়াশোনা শেষ করে কোনও একটা কাজ করি। পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে করব। ওর ঘরবাড়ির সমস্যা নেই। তবে বাড়িতে কোনও মেয়ে আনলে তো খরচ আছে। ওই মেয়ের জন্যই গলায় দড়ি দিয়েছে। মেয়েটার ছবি আমরা দেখেছি। বাড়ি কোথায় জানি না। মেয়েটিও বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারে পড়ত। সারারাত কথা হয়েছে। ভিডিয়ো কল করে গলায় দড়ি দিয়েছে।
আকাশের বাবারও দাবি, ফোনে সারারাত কথা বলেছে। মেয়েটার নামে সায়নী না কী একটা নাম। সকালে উঠে দেখছি গলায় দড়ি দিয়েছে। বিদ্যানগর কলেজে বিএসসি পড়ছে। ওকে বলাই ছিল, বিয়ে করতে যদি চাস তাহলে আমি বিয়ে দিয়ে দেব। ও বারবার বলত পাঁচ বছর পর বিয়ে করব।