Cow Smuggling Case: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ! গরু পাচার মামলায় আব্দুল লতিফকে তলব CBI-এর

গরু পাচার মামলায় অস্বস্তি বাড়ল আব্দুল লতিফের (Abdul Latif)। মঙ্গলবার আব্দুল লতিফকে তলব করল সিবিআই। নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবদুল লতিফকে হেফাজতে নিতে তৎপর গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বীরভূমের ইলামবাজারের পশুহাটের মালিক আবদুল লতিফ। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের পর গত বৃহস্পতিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন ‘ফেরার’ থাকা আবদুল লতিফ। 

আদালতে আত্মসমর্পণের পরে লতিফের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। তারপরেই এদিন সিবিআই তলব করে আব্দুল লতিফকে। লতিফকে সিবিআই কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তা আগেই জানতে চেয়েছিল বিচারক। গরু পাচার কান্ডের তদন্তকারী আধিকারিক  সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, আমরা ওঁকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই এবং কোপারেশন আশা করব। লতিফের আইনজীবী বলেন আমরা কোঅপারেশন করতে রাজি। প্রয়োজনে এখন থেকেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। যদিও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আগামী ৪ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের সুরক্ষা কবচে আছেন। তাই তাকে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগ্রহী। 

শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের পর থেকেই আচমকা উধাও হয়ে যান লতিফ। খুনের দিন ঘটনাস্থলে দেখাও গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। যদিও এরই মধ্যে শীর্ষ আদালত থেকে রক্ষাকবচ নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি আব্দুল লতিফের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় আগামী সোমবার পর্যন্ত লতিফের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু ২৭ এপ্রিল তাঁকে আসানসোল আদালতে হাজিরা দিতে হবে। সিবিআইয়ের দাবি ছিল আব্দুল লতিফ ফেরার। প্রশ্ন উঠছে রাজু ঝার গাড়িতেই কি ছিলেন লতিফ? তদন্তে জানা গিয়েছে, নিহত রাজুর সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল আব্দুল লতিফের! কীভাবে? কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তে তখন রীতিমতো সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই ও ইডি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.