সিরিজ় জয় নয়, বুধবারের ম্যাচে ভারতীয় দলের লক্ষ্য অন্য

বিশ্বকাপের আগে এখন সব এক দিনের ম্যাচেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। জয় বা হারের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রকম প্রথম একাদশ তৈরি করা। যাতে বিশ্বকাপের সময় সমস্যা না হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের আগের দিন পরিস্কার জানিয়েদিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।

বিশ্বকাপের জন্য ১৭-১৮ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে পরিকল্পনা করছেন দ্রাবিড়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বুধবার ধরের মাঠে নবম এক দিনের ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। নিউ জ়িল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও তিনটি ম্যাচ হয়ে যাবে। দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘বুধবার ফল যাই হোক না কেন এই ন’টা ম্যাচ থেকে আমরা একটা পরিষ্কার ধারনা পাব। সেটা আমাদের বজায় রাখতে হবে। আমরা বিভিন্ন রকম একাদশ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন রকম প্রথম একাদশ তৈরি করে রাখতে চাই। যাতে বিশ্বকাপের সময় সমস্যায় পড়তে না হয়। কোনও পরিস্থিতি আমাদের উদ্বিগ্ন করতে না পারে।’’

শ্রেয়স আয়ারের চোট নিয়ে ভারতীয় দলের কোচ উদ্বেগ গোপন করেননি। দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘শ্রেয়সের চোট দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চার নম্বরের জন্য যাদের ভাবছি, শ্রেয়স তাদের এক জন। বেশ কিছু ম্যাচে চার নম্বরে খেলেছে ও। প্রচুর পরিশ্রম করছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমরা সকলকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় খেলাচ্ছি। গত দু’বছর আমরা প্রচুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। এক দিনের ক্রিকেট তেমন খেলিনি। কেউ চোট পেলে, তার বিকল্প তৈরি রাখতে চাই।’’

সূর্যকুমার যাদব পর পর দু’টি ম্যাচে প্রথম বলে আউট হলেও চিন্তিত নন ভারতীয় দলের কোচ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটারের উপর আস্থা রয়েছে তাঁর। দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘সূর্যকে নিয়ে একদমই চিন্তিত নই। ওকে দুটো দারুণ বল সামলাতে হয়েছে। সূর্য ৫০ ওভারের ক্রিকেট বোঝার চেষ্টা করছে। এই খেলাটা টি-টোয়েন্টির থেকে একটু আলাদা। ১০ বছর ধরে আইপিএল খেলছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা সূর্যর অনেক বেশি রপ্ত। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেট খুব বেশি খেলেনি। আমাদের উচিত ওকে আরও সময় দেওয়া। আরও ধৈর্য্য ধরা।’’

বিশ্বকাপের জন্য ১৭-১৮ জন ক্রিকেটার বেছে নেওয়ার জন্য আইপিএলের পারফরম্যান্সের দিকেও নজর রাখবেন দ্রাবিড়। কারণ এর পর দেশের মাটিতে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না ভারতীয় দল। যশপ্রীত বুমরা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, দীপক চাহারের মতো একাধিক ক্রিকেটারের চোট নিয়ে চিন্তিত তিনি। দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘কয়েক জন চোট থেকে সেরে উঠছে। তাদের দিকেও নজর থাকবে। সকলকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে চাই আমরা।’’

এক দিনের বিশ্বকাপ হবে অক্টোবরে। ভারতের উইকেট সাধারণত স্পিন সহায়ক হয়। গ্রীষ্মের শেষে বিশ্বকাপের সময় স্পিনাররা সাহায্য পাবেন বলেই মন দ্রাবিড়ের। তাই কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহালরাও রয়েছেন তাঁর ভাবনায়। দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে সময় মাঝের ওভারগুলিতে রিস্ট স্পিনাররা বিশেষ কার্যকরী হতে পারে। ন’টি শহরে খেলতে হবে। স্পিনাররা ভাল বল করলে অবশ্যই আমরা কিছুটা সুবিধা পাব। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পারব আমরা। কুলদীপ ভাল বল করছে। চহালকে এখন পাচ্ছি না আমরা। দুর্দান্ত স্পিনার চহাল। ক্রিকেটারদের উপর সব সময় আস্থা রাখি আমি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.