Inflation In Pakistan: পেঁয়াজ ২২০ টাকা কেজি; একটা কলার দাম ১০ টাকা, শ্রীলঙ্কার দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তান!

তীব্র আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। তেল থেকে আটা, অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। তার উপরে সেইসব জিনিসের সরবারহ নেই। গমের লাইনে দাঁড়িয়ে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বেলুচিস্তানে। কিন্তু শাহবাজ শরিফের দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেমন?

পেঁয়াজের দাম গত বছরের জানুযারির সঙ্গে এবছরের দামের তুলনা করলে চোখ কপালে উঠবে। গতবছর জানুয়ারিতে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৬.৭ টাকা। এবছর জানুয়ারিতে সেই দাম গিয়ে পৌঁছেছে ২২০ টাকায়। ডাল ছিল ১৫০ টাকা, এবছর তা বেড়ে হল ২২৮ টাকা। চিকেনের কেজি ছিল ২১০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৮৩ টাকা। মুগ ডালের কেজি ছিল ১৭১ টাকা, এখন তা হয়েছে ২৫২ টাকা। বাসমতি চালের দাম ছিল ১০০ টাকা, এবছর তা বেড়ে হয়েছে ১৪৬ টাকা প্রতি কেজি। একটা কলার দাম হয়েছে প্রায় ১০ টাকা। সর্ষের তেলের দাম হয়েছে ৫৩২ টাকা কেজি। দুধ ১৪৯ টাকা লিটার।

দৈনিক খাবারের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ২০২১ সালে ১২.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা হয়েছে ২৪.৫ শতাংশ। কিন্তু এর পাশাপাশি শাহবাজ শরিফ সরকারের আরও আতঙ্কের কারণ হল, দেশে বৈদেশিক মূদ্রার ভাঁড়ার দ্রুত কম হয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের হাতে বিদেশি মূদ্রার সঞ্চয় ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা কমে হয়েছে ১১.৪ বিলিয়ন ডলার। ফলে জ্বালানী তেল সহ অন্যান্য জিনিসপত্র আমদানির ক্ষেত্রে প্রবল বিপাকে পড়তে চলেছে পাক সরকার। পাশাপাশি দেশের ঋণও বাড়ছে লাফিয়ে। ওই ঋণের পরিমাণ দেশের জিডিপির ৭৭.৮ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.