শিশুকন্যাকে জন্মের পর মাঠে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন কেউ। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে সারা রাত সে মাঠেই পড়ে ছিল। সকালে উঠে মাঠের এক কোণে গুটিয়ে পড়ে থাকা সদ্যোজাতকে দেখে পুলিশে খবর দেন গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর তৎপরতায় বাঁচানো গিয়েছে একরত্তিকে।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলার নিহালপুর গ্রামের। গ্রামের মাঠে সারা রাত কাঁদছিল সদ্যোজাত শিশুকন্যা। কে বা কারা তাঁকে মাঠে ফেলে রেখে গিয়েছিল, তা জানা যায়নি। সকালে উঠে মাঠে শিশুকন্যাকে পড়ে থাকতে দেখেন পঞ্চায়েত প্রধান রামকুমার যাদব। তখন তার নড়াচড়াও বন্ধ। পুলিশে খবর দেওয়ার পর নিজেই রামকুমার শিশুটিকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে যান। গাড়ি ছুটিয়ে ৯ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে মাত্র ১৫ মিনিটেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সারা রাত ঠান্ডায় পড়ে থাকার পরে শিশুটিকে বাঁচানো যাবে বলে আশা করেননি তিনি। তবে চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পেরেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রায় ১৮ ঘণ্টা আগে শিশুটির জন্ম হয়েছে। রাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সে মাঠে পড়ে ছিল। তাপমাত্রা বেশ কম ছিল গ্রামে। যে কারণে শিশুটির হাইপোথার্মিয়া হয়েছিল। তার সারা শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রামকুমার যখন সকালে শিশুটিকে খুঁজে পান, তখন শিশুটি প্রায় নিথর অবস্থায় পড়ে ছিল। তবে দেহে প্রাণ আছে বুঝে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। নিজের পরনের পোশাক খুলে শিশুটির গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলেন রামকুমার। গ্রামের এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়েই গাড়ি ছুটিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটিকে বর্তমানে সদ্যোজাতদের বিশেষ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।