Artemis 1: চাঁদে যাচ্ছে নাসার ‘আর্টেমিস-১’! ব্যাপক তৎপরতা ফ্লোরিডায়


চাঁদে যাচ্ছে নাসার চন্দ্রযান ‘আর্টেমিস-১’। সোমবারই পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের উদ্দেশে রওনা দেবে এই মহাকাশযান। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে এই চন্দ্র অভিযানকে কেন্দ্র করে এখন সাজো সাজো রব। তবে শেষ মুহূর্তে অভিযানের কাউন্টডাউন কিছু ক্ষণের জন্য থামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে চাঁদের উদ্দেশে ‘আর্টেমিস-১’-এর রওনা দিতে কিছুটা দেরি হতে পারে।

‘আর্টেমিস-১’কে সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান বলে দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কথা ছিল, সোমবার সন্ধ্যায় পৃথিবীর মাটি ছাড়বে ‘আর্টেমিস-১’। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে এই চন্দ্রযানে জ্বালানি নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই সাময়িক ভাবে কাউন্টডাউন বন্ধ করা হয়েছে। আবহাওয়া যদি খারাপ থাকে, তবে গোটা প্রক্রিয়াতে আরও দেরি হতে পারে।

৫০ বছর আগে নাসার অ্যাপোলো-১৭ অভিযানে শেষবার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন মানুষ। তার পর ‘আর্টেমিস-১’ চাঁদে যাচ্ছে। এই মহাকাশযানে অবশ্য এখনই কোনও নভশ্চর যাচ্ছেন না। নাসার ‘ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন’-এর প্রাথমিক পর্ব এই ‘আর্টেমিস-১’। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে নাসা চাঁদে মহিলা মহাকাশচারী পাঠাবে বলে জানিয়েছে।

‘আর্টেমিস-১’ মহাকাশযানটি ৯৮ মিটার লম্বা। বিশাল কমলা এবং সাদা রঙের রকেটটি তৈরিতে সময় লেগেছে কয়েক দশক। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী চাঁদের দেবী আর্টেমিস। তাঁর নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানের নাম রাখা হয়েছে। জ্বালানি হিসেবে এতে ভরা হয়েছে ৩০ লক্ষ লিটার অতিরিক্ত ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন। মূলত, এসএলএস (স্পেস লঞ্চ সিস্টেম) এবং ওরিয়ন ক্রিউ ক্যাপস্যুলের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য এই রকেট চাঁদে পাঠানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.