Antarctica: তাপমাত্রা শূন্যের ৮০ ডিগ্রি নীচে, চার মাস পর সূর্য দেখলেন আন্টার্কটিকার বিজ্ঞানীরা

বছরের ছ’মাস সূর্যালোক পৌঁছতে পারে না দক্ষিণ মেরুতে। থাকে অন্ধকার। আর সেই গাঢ় অন্ধকারই গ্রহ-নক্ষত্র দেখার সবচেয়ে উপযোগী সময়। সেই লক্ষ্যে ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি’-র কয়েক জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ঘাঁটি গেড়েছিলেন দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি গবেষণাকেন্দ্রে। আক্ষরিক অর্থেই একটানা চার মাস আন্টার্কটিকার অন্ধকারে থাকার পর অবশেষে সূর্যোদয় দেখলেন তাঁরা।

দক্ষিণ মেরুর সবচেয়ে দুর্গম বেসগুলির মধ্যে অন্যতম ‘কনকর্ডিয়া’। দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই এই গবেষণাকেন্দ্র। চলতি বছরের মে মাস থেকে সেখানেই ছিলেন বিজ্ঞানীরা। এমনিতেই দুর্গম। তার উপর অন্ধকার। চার মাস গবেষণাকেন্দ্রের বাইরে যেতে পারেননি কেউ। বাইরে থেকে কেউ আসতেও পারেননি সেখানে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল হিমাঙ্কের থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। তবুও হাল ছাড়েননি বিজ্ঞানীরা।

যতই প্রশিক্ষণ নেওয়া থাক, আন্টার্কটিকার এমন পরিবেশে এক টানা থাকা সহজ নয় মোটেই। খাবারদাবার যেমন খেতে হয় মেপে, তেমনই অক্সিজেনের অভাবে দেখা দিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট। অনেক সময়ে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম পৌঁছয়, দেখা দেয় স্থায়ী হাইপক্সিয়া। তাই দীর্ঘ লড়াই শেষে, সূর্যের দেখা পাওয়ার পর কার্যত যুদ্ধজয়ের হাসি ‘কনকর্ডিয়া’-র বিজ্ঞানীদের মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.