পর্যটকদের ভিড়ের চোটে ক্ষতি হচ্ছে অজন্তা গুহা চিত্রের। তাই এ বার পর্যটকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানাল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)।
ইউনেস্কো স্বীকৃত ঐতিহ্যশালী স্থান অজন্তা গুহা। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে বৌদ্ধ স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন এটি। গুহার দেওয়ালে বিভিন্ন চিত্রে বর্ণিত হয়েছে গৌতম বুদ্ধের জীবন কাহিনি। কিন্তু অধিক সংখ্যক পর্যটকের ভিড়ে ক্ষতি হচ্ছে সেই চিত্রগুলির।
এএসআই-এর সার্কেল সুপারিনটেন্ডেন্ট (ঔরঙ্গাবাদ) মিলন কুমার চৌলে বলেছেন, ‘‘গুহার মধ্যে বহু সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতির ফলে আর্দ্রতা বাড়ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ওই চিত্রগুলির উপর।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই কারণে কয়েকটি চিত্রের ক্ষতিও হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘকাল ধরে এই চিত্রগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে যত্নবান হওয়া দরকার। সেই কারণে গুহার মধ্যে পর্যটকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন। কম সংখ্যক পর্যটককে একটা সময়ে গুহার মধ্যে প্রবেশ করানো হোক।’’
এই প্রসঙ্গে চৌলে আরও বলেছেন যে, ১০ মিনিটের ব্যবধানে ৪০ জন পর্যটককে গুহার মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হোক। কিন্তু, এত অল্প সময়ের মধ্যে অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহার মধ্যে চিত্রগুলি চাক্ষুষ করা পর্যটকদের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই ধারণা তাঁর।
গুহা চত্বরের বাইরে একটি বিশেষ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। যেখানে গুহার বিষয়ে নানা রকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে ওই আধিকারিক বলেছেন, ‘‘অতীতে এটিকে (সেন্টার) আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলাম, যাতে গুহার ভিতরের চিত্রগুলির প্রতিকৃতি আমরা দেখাতে পারি। এর ফলে ভিড়ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার।’’