রাশিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে চিনা ফৌজের সঙ্গে যৌথ যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে এই দাবি করা হয়েছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে নরেন্দ্র মোদী সরকার এমন পদক্ষেপ করলে আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও সামরিক ক্ষেত্রে তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনা সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারত, রুশ ও চিনা সেনার পাশাপাশি বেলারুশ, তাজিকিস্তান এবং মঙ্গোলিয়ার ফৌজ আগামী ৩০ অগস্ট-৫ সেপ্টেম্বর আয়োজিত ‘ভোস্তক-২০২০’ নামের ওই সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে প্রত্যক্ষ ভাবে সামরিক সহযোগিতা করছে বেলারুশ। তাজিকিস্তান এবং মঙ্গোলিয়াও মস্কোর ‘প্রভাব বলয়ের’ মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ায় যৌথ সেনা মহড়ায় অংশ নিলে ভারত আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলির ‘নিশানা’ হতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন।
বেজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছেছিল। সেই পরিস্থিতিতে ২০২০-র অগস্টে রাশিয়ার আয়োজিত বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মোদী সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। গত সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘‘সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে ভারত-চিন সম্পর্কে শান্তি আসবে না।’’ লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় টানাপড়েনের মধ্যেই কি মস্কোর ‘মধ্যস্থতায়’ শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কে নতুন মোড় আসতে চলেছে?