শ্রীলঙ্কার জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘শ্রীলঙ্কা রূপবাহিনি কর্পোরেশন’ তার সম্প্রচার স্থগিত করেছে। সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বলয় লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়েন আজ বেলার দিকে। প্রতিবাদীরা টিভি স্টেশনের দখল নেওয়ার পরেই সম্প্রচার স্থগিত করা হয়। এর আগে প্রতিবাদকারীদের তাঁদের কথা দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রায় ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল প্রতিবাদীদের।
এদিকে এদিন শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চলে কার্ফু জারি করেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে। এরপরও অবশ্য শান্ত করা যায়নি প্রতিবাদীদের। এদিন কার্ফু জারির পরও বিক্ষোভ জারি থাকে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে। সেখানে নিরাপত্তাবাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তবে প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করা যায়নি। এদিকে রনিল বিক্রমসিংহে বর্তমানে নিরাপদে থাকলেও তাঁর বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে আজ সকালে বার্তা সংস্থা এএফপির রিপোর্টে দাবি করা হয়, বুধবার শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপে গিয়ে পৌঁছেছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে আজই পদত্যাগ করতে পারেন গোতাবায়া। পদত্যাগের আগেই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলেন গোতাবায়া। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি হিসেবে গোতাবায়া গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ পান। এই আবহে পদত্যাগ করার আগে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন গোতাবায়া। জানা গিয়েছে অ্যান্টভ-৩২ সামরিক বিমানে করে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গোতাবায়ার দেহরক্ষী। এর আগে সামরিক বিমানে করে ভারতে অবতরণের অনুমোদন পাননি গোতাবায়া। এই আবহে পরে তিনি মালদ্বীপে পৌঁছান বুধবার সকালে। সেখান থেকে অন্য কোনও দেশে যাওয়ার কথা রয়েছে গোতাবায়া।