দুইদফা দলীয় বৈঠকের পরেও উঠে এল না কংগ্রেস সভাপতির নাম। শনিবার পার্টীর সদর দফতরে তিনঘণ্টার সান্ধ্য বৈঠকে সোনিয়া গান্ধীকে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি সান্ধ্যবৈঠক তিনঘণ্টা সময় নিয়ে হয়।

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির এই মিটিং-এ রাহুল গান্ধীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়। তবে কমিটির তরফ থেকে তাঁকেই সভাপতি হিসেবে থাকার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়। তাঁরপরেও তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করতে রাজী হননি।

সাংবাদিক বৈঠকে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি মুগ্ধ। সভাপতি হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রতি মুহূর্তে দেশের কৃষক, ছোট ছোট ব্যবসায়ী, সংখ্যালঘু, মহিলা, আদিবাসী ও সমাজের গরিব মানুষের জন্য সরব হয়েছেন। দেশে হিংসার পরিবেশের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসকে একটা নতুন দিশা দিয়েছে রাহুল গান্ধী। বঞ্চিত ও শোষিতদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছেন।’

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, এত আলোচনার পরও গান্ধী পরিবারের বাইরে কেন কাউকে পেল না কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী ইস্তফা দেওয়ার পর সনিয়া গান্ধীকেই ফের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন ওয়ার্কিং কমিটির নেতারা। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা গুলাম নবি আজাদ ঘোষণা করেন, কংগ্রেসের নতুন সভানেত্রী হচ্ছেন সনিয়া গান্ধী।

শনিবার রাহুল গান্ধী মিটিং-এ উপস্থিত না থাকলেও, সন্ধ্যায় তাঁকে হঠাৎই একবার দেখা যায়। কমিটির ডাকেই তিনি এসেছেন। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উদ্বীগ্ন তিনি। বলছেন কাশ্মীরের অবস্থা ভালো নয়। তবে তিনি পুরো মিটিং-এ ছিলেন না। মাঝপথেই বেড়িয়ে আসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.