কয়েক মাস আগেই জম্মুর বিমানবন্দরে হানা দিয়েছিল ড্রোন, ঘটেছিল বিস্ফোরণ। এরপর ঝিলাম দিয়ে পার হয়েছে বহু জলরাশি। ড্রোন ঘিরে ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগে এসেছে আরও আঁটোসাটো ব্যবস্থা। তবে তারই মাঝে বুধবার জম্মুর আকাশে ফের একবার পাকিস্তানি ড্রোনের আনাগোনা দেখা গেল। জম্মুর আরনিয়া সেক্টরে ড্রোনের দেখা মিলতেই তাকে তাক করে বিএসএফ।
পাকিস্তান-ভারতের মাঝে ১৯৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে রয়েছে জম্মুর আরনিয়ার আরএসপুরা সেক্টর। সেখানেই পাকিস্তানি ড্রোনের দেখা মিলতেই তাকে পাল্টা নিশানা করে বিএসএফ। বুধবার গভীর রাতে ১২.৪৫ মিনিট নাগাদ আরনিয়াতে ওই ড্রোনকে দেখাতে পায় বিএসএফ। জানা গিয়েছে, ভারত সীমান্তের ১০০ থেকে ১৫০ মিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে সেই পাকিস্তানি ড্রোন। বিএসএফএর পোস্টগুলির কাছে তা ঘোরাফেরা করতে থাকে বলে জানা যায়। ড্রোন দেখা মাত্রই তাকে তাক করে ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি চালায় বিএসএফ। তবে, কোনও মতেই ড্রোনকে গুলি করে নামাতে পারেনি সেনা। বিএসএফ অফিশিয়ালের মতে, ড্রোনগুলি ফের একবার পাকিস্তান সীমান্তের দিকে চলে যায়। উল্লেখ্য, ড্রোন থেকে কোনও অস্ত্র ফেলা হয়েছে কি না তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। ফলে ড্রোন পাকিস্তানের দিকে চলে যাওয়ার পরই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে সেনা। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জুন জম্মুর বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনের হানায় সেবার বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আহত হয়েছেন একাধিক জন। এরপর থেকেই জম্মুর বুকে অস্ত্র, মাদক ছড়িয়ে দিতে পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনকে হাতিয়ার করা হয়েছিল বলে খবর। এমনকি হাওলার পথে টাকা অংশও কাশ্মীরে ড্রোন মারফৎ ঢোকানোর চেষ্টা চলেছে বলে খবর।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, সদ্য ৫ জানুয়ারি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সম্পন্ন হওয়া ফ্ল্যাগ মিটিং এ ভারতের তরফে পাকিস্তানের ড্রোন পাঠানো নিয়ে কড়া বার্তা দেয় ভারত। ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে সুচেতগড়ে এই বৈঠক সম্পন্ন হয়েছিল। এদিকে, জম্মুর বুকে যাঁরা ড্রোন অপারেটর তাঁদের নাম নথিভূক্ত করতেও নির্দেশ দেয় জম্মু প্রশাসন। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের আওতায় ২০২১ ড্রোন আইন অনুযায়ী, এই নামগুলি নথিভূক্ত করে রাখে ভারত। এর দ্বারাই ড্রোনকে দুরাভিসন্ধিমূলক কাজে ব্যবহার থেকে রোখার রোডম্যাপ তৈরি করতে শুরু করে সেনাও।