ডেঙ্গু আক্রান্ত বাংলাদেশ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বৃষ্টির জলে প্যাচে পরিস্থিতি। তার সঙ্গে অপরিষ্কার পরিবেশের কারণে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এখন ডেঙ্গু নগরী। হাজারে হাজারে মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার পুরসভার ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ ও ওষুধের উপরেই ভরসা।
শুধু ভারত নয় চিন থেকেও মশা মারার ওষুধ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রুখতে এই উদ্যোগ। সিঙ্গাপুর থেকেও আনা হয়েছে মশা মরার বিশেষ ওষুধ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে মশা মারার ওষুধ আনা হয়েছে। পরীক্ষার পর ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানা যাবে। জনা গিয়েছে, ওই সব ওষুধের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ মশা মারা যায়।
ডেঙ্গু ছড়িয়েছে বাংলাদেশে সর্বত্র। দেশের এমন কোনও জেলা বা উপজেলা নেই যেখানে ডেঙ্গু রোগী দেখা মিলবে না। ২৪ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগীর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সোমবার হু প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক হয় ঢাকা মহানগর পুর প্রশাসনের। এতে অংশ নিয়ে হু-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বারদিন জাং রানা বলেন, বাংলাদেশে এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এটি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ভয়ঙ্কর এডিস এজিপ্টি মশায় ছেয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের সর্বত্র। বিভিন্ন পরিকাঠামো কাজ চলতে থাকায় মাটি খোঁড়াখুঁড়ির জন্য জমা জলে জন্ম হয়েছে এই মশার। তাদের হামলায় বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত দেশ হিসেবে পরিচিত।