সামনেই উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট পর্ব। তার আগে এদিন সংসদে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণে কার্যত বিরোধী কংগ্রেস শিবিরকে একহাত নেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি পর পর কটাক্ষবাণে বলতে থাকেন, ‘যে কংগ্রেস এককালে গরীবী হঠাওয়ের ডাক দিয়েছিল, সেই কংগ্রেসকে দেশের গরিবরাই হঠিয়ে দিয়েছে।’ এই ইস্যুতে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি থেকে শুরু করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে একাধিক তোপ তিনি দাগেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
সংসদে যখন মোদী ভাষণ দিচ্ছেন, তখন বিপক্ষ শিবির থেকে ক্রমাগত বিজেপির দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। বক্তব্যের ফাঁকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেএ মশকরার ছলে জবাব দিচ্ছিলেন মোদী। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বারবার বলেন না যে আমি নেহরুজিকে নিয়ে কিছু বলি না। আজ আমি শুধু নেহরুজিকে নিয়েই বলব। আপনাদের ইন্টারেস্টের বিষয় আসতে চলেছে।’ এরপরই কংগ্রেস আমলে দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদী। মোদী উল্লেখ করেন, লালকেল্লার বুক থেকে একবার দেশের উদ্দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ইস্যুতে কী বলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। মোদী বলেন, নেহরু সেবার বলেছিলেন, কোরিয়ায় যুদ্ধের প্রভাবে দেশের দ্রব্যমূল্যে প্রভাব পড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, আমেরিকায় কোনও সমস্যা তৈরি হলে তা মুদ্রাস্ফীতি তৈরি করতে পারে।’ মোদী অভিযোগের সুরে বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এভাবেই সেবার হাল ছেড়ে দেন। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতেও নেহরু হার মেনে নিয়েছিলেন বলে সুর চড়া করেছেন মোদী।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সংসদে মোদী বলেন, বারবার বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ভালো হত যদি এই ইস্যুটি নিয়ে তাঁরা নিজেদের শাসনকালে প্রশ্ন তুলতেন। অতিমারীর মধ্যেএ আমাদের সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। ২০১৪-২০২০ সালে মুদ্রাস্ফীতির শতাংশ দেশে ৫ এর নিচে রয়েছে।’ এদিনের মন্তব্যে পি চিদাম্বরমের একটি আর্টিক্যালের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ‘২০১২ সালে পি চিদাম্বরম বলেছিলেন, মানুষ ১৫ টাকার জলের বোতল আর ২০ টাকা দিয়ে আইসক্রিম কিনতে বিরক্ত হয়না, কিন্তু চাল গমের দাম ১ টাকা বাড়লে সহ্য করতে পারে না।’ দেশে দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের মনোভাব প্রসঙ্গে মোদীর এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।