কাশ্মীর সমস্যায় মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততা চেয়েছেন। একথা ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক স্তরে শুরু হয় অনেক শোরগোল। এই বিষয়ে ভারত আরও একবার অবস্থান পরিষ্কার করে সরাসরি জানিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক যা দ্বিপাক্ষিক অবদানেই মিটবে।
নবম ইষ্ট এশিয়া সামিট ফরেন মিনিশটারস মিট- এর দ্বিতীয় দিনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে উপস্থিত মাইক পম্পিও কে বলেন, কাশ্মীর সমস্যা পুরোপুরি দ্বিপাক্ষিক ও সেই আলোচনা শুধুমাত্র ভারত ও পাকিস্তানের হতে পারে।
পম্পিও’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর একটি ট্যুইটের মাধ্যমে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, “আজ সকালে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে উপস্থিত মাইক পম্পিওকে বলেছি প্রয়োজন হলে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে নিশ্চয় কথা হবে। কিন্তু তা শুধু পাকিস্তানের সাথেই হতে পারে। যেহেতু এই বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক।”
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর এই প্রথম কোন উচ্চপর্যায় বৈঠকে বসল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইমরান খান প্রথম মার্কিন সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে ইমরান তাঁকে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার সাহায্য চান বলে জানা যায়৷ কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে৷ এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প জানান, এই বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপরেই নির্ভর করছে, তিনি মধ্যস্থতাতে সায় দেন কিনা৷ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর এই প্রথম কোন উচ্চপর্যায় বৈঠকে বসল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফ থেকে মধ্যস্থতা করার আবেদন পেয়েছেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারত-পাকিস্তান চাইলে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতেও রাজি রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় তীব্র রোশের মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ট্রাম্পের সেই মন্তব্য খারিজ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে গত মাসে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার ভারতের অবস্থান স্বচ্ছ করে বলেছিলেন, “আমরা মন্তব্যটি শুনেছি যে, ভারত ও পাকিস্তান যদি বলে তাহলে তিনি মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি। কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ভারতের তরফে মধ্যস্থতার কোনও আর্জি জানানো হয় নি।”
এই প্রসঙ্গে কুমার আরও বলেছিলেন যে, “ধারাবাহিকভাবে ভারত যে কোন সমস্যা নিয়ে পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অবস্থান বজায় রেখেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও প্রতিশ্রুতি একটাই শর্ত যেখানে ভীতিপ্রদর্শন দ্বারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যলাভের চেষ্টাকে সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। শিমলা চুক্তি ও লাহোর ডিক্লেয়ারেশন অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানের সব সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমাধান হবে।”