‘মহিলাদের স্বাধীনতার ফলে অভিভাবকদের কর্তৃত্ব শেষ’, দশম শ্রেণির বিতর্কিত প্রশ্ন বাদ CBSE-র

বিতর্কের মুখে পিছু হটল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। দশম শ্রেণির প্রথম টার্মের ইংরেজি পরীক্ষায় ‘মহিলা বিরোধী’ প্রশ্ন বাতিল করে দিল কেন্দ্রীয় বোর্ড। পড়ুয়াদের পুরো নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

গত ১১ ডিসেম্বর সিবিএসইযের ইংরেজি পরীক্ষায় একটি বড় প্রশ্ন ছিল। একটি অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হত। যে প্রশ্নের একাধিক বাক্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। একটি বাক্য ছিল, ‘মহিলাদের স্বাধীনতার ফলে সন্তানদের উপর অভিভাবকদের কর্তৃত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে।’ অপর একটি বাক্যে বলা হয়েছিল, ‘শুধুমাত্র নিজের স্বামীর পথ অবলম্বন করে ছোটোদের থেকে আনুগত্য লাভ করতে পারবেন।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

সেই প্রশ্ন নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা সিং বঢরা। টুইটারে সেই বিতর্কিত প্রশ্নপত্র টুইট করে বলেন, ‘অবিশ্বাস্য! এই ধারায় আমাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিচ্ছি? স্পষ্টতই মহিলাদের বিষয়ে এরকম পশ্চাত্গামী দৃষ্টিভঙ্গিগুলিকে সমর্থন করে বিজেপি, নাহলে কেন তা সিবিএসই পাঠ্যক্রমে যোগ করা হবে?’ একইসুরে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিজেপি দেশের শিশুদের ভবিষ্যত্‍ প্রজন্ম নষ্ট করছে।

সেই প্রশ্নের নিয়ে বিতর্কের রেশ লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনেও পড়ে। কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘এই অনুচ্ছেদে ভয়ংকর মন্তব্য আছে। যেমন – মহিলারা স্বাধীনতা পাওয়াই হল বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যার মূল কারণ।’ সেই সময় কংগ্রেস সাংসদরা বিজেপির উদ্দেশে ‘লজ্জা, লজ্জা’ বলতে থাকেন। তারইমধ্যে সোনিয়া বলেন, ‘(অনুচ্ছেদে বলা আছে যে) সন্তান এবং পরিচাকরদের উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠার মূল কারণ হল, মহিলারা তাঁদের স্বামীদের মেনে চলা বন্ধ করে দিয়েছেন।’ ভবিষ্যতে যাতে কখনও এরকম প্রশ্ন না হয়, সেই দাবিও জানান সোনিয়া।

বিতর্কের মধ্যেই সিবিএসইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সেই বিতর্কিত প্রশ্ন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের পুরো নম্বর দেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.