অভিষেকের আপ্ত সহায়কের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার কয়লা-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে ইডি।

কয়লা-কাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ইডি। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার শীর্ষ আদালতে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আবেদন ওই রক্ষাকবচ তুলে না নিলে তদন্তের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। কয়লা-কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তাঁর আপ্ত সহায়কেরও নাম জড়িয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্ট গত ১২ নভেম্বর নির্দেশে জানিয়েছিল, ছয় সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। এর মাঝে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে ভার্চুয়ালি করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় ইডি। এর আগে কয়লা-কাণ্ডে দুটি নোটিস পাঠানো হয় সুমিত রায় কে।

সূত্রের খবর, কয়লা-কাণ্ডে গ্রেফতার অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুমিত রায়ের নাম জানতে পেরেছিল ইডি। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দা কর্তারা।

কয়লাকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। জামনগর হাউজে ইডির অফিসে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও একই মামলায় সমন পাঠানো হয়। রুজিরা হাজিরা না দিলেও ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন অভিষেক। টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে তাঁর। পরে ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও দ্বিতীয়বার হাজিরা দেননি তিনি।

এরপরই ইডি-র সমনে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তবে, কয়লা-কাণ্ডে অবশেষে স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক-জায়া। তাঁকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয়নি। কয়লা দুর্নীতি মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর পাতিয়ালা হাউস কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রুজিরা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।

কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তদন্তে নামে ইডি। কলকাতা ও হুগলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় তারা। তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে নজরদারি চলে ইডির দিল্লি দফতর থেকে। রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জ্ঞানবন্ত সিং-কেও এই মামলায় ইতিমধ্যে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.