একসময় বাবার হাত ধরে মাঠের কাজে নেমে পড়া৷ আর আজ সেখান থেকেই চন্দ্রযান ২ মিশনের গুরুভার সামলাচ্ছেন হুগলির বাঙালি চাষীর ছেলে চন্দ্রকান্ত৷
গত সপ্তাহে চন্দ্রযান ২-এর উড়ান প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে স্থগিত রাখতে হলেও, এরইমধ্যে সব বাধা কাটিয়ে ফের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত এটি৷ আর কোটি কোটি দেশবাসীর পাশাপাশি অধীর আগ্রহে যিনি বসে রয়েছেন ছেলের সাফল্যের জয়গাথা সাক্ষী থাকতে তিনি হলেন চন্দ্রকান্তের বাবা মধুসূদন কুমার৷
হুগলির শিবপুর গ্রামের মধুসদন কুমার স্ত্রীয়ের সঙ্গে গত রবিবার সারা রাতই অপেক্ষা করেছিলেন চন্দ্রযান ২-এর উড়ানের জন্য৷ এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছেলের কাজ সম্পর্কে তিনি বিশেষ কিছু জানেন না, কিন্তু ছেলের ওপর তার সিনিয়ররা খুবই ভরসা করেন এবং তাঁকে গুরুভারও দিয়েছেন৷ কিন্তু এর আগে চন্দ্রযান ২-এর উড়ান শেষ মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়ায় খুবই খারাপ লেগেছে তাঁদের৷ কিন্তু এই মিশন যে সফল হবেই সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি৷
২০০১ সালে ইসরোতে যোগদানের পরে ক্রমশই নিজের কাজের মাধ্যমেই সামনে এগিয়ে গিয়েছেন চন্দ্রকান্ত৷ হয়ে উঠেছেন চন্দ্রযান ২-এর অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী৷ চন্দ্রাকান্ত ভাই শশীকান্তও একজন বিজ্ঞানী৷ তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়ান স্পেস এজেন্সিতে কর্তব্যরত৷
চন্দ্রযান ২ অভিযানে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে ভারত৷ অপরদিকে, সেই অংশটিতে নাসাও যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরেই ট্রাম্প চন্দ্রাভিযানের নির্দেশ দিয়েছিল৷ চাঁদের ওই অন্ধকার অংশটি থেকে পাথর তুলে আনবে রোবট৷ সেই পাথর পরীক্ষাগারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে৷ তবে, ভারত চন্দ্রাভিযানের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অনেক বেশি শক্তিশালী এমনটাই দাবি ভারতের৷