দুষ্কৃতীদের কড়া হাতে দমন করার উদ্যোগ নিতেই ফের বদল পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়া থানার আইসি

মুখ্যমন্ত্রী একদিকে বলছেন সন্ত্রাস মুক্ত বাংলা গড়বেন। আরকেদিকে পুলিশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হলেই বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে কি সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব? রাজ্যের কোথাও সন্ত্রাস হলেই মুখ্যমন্ত্রী এখন বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন। ভাটপাড়া নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় সেই সূরই শোনা গেছে। আজ উনি বলেন, ভাটপাড়ায় বিজেপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে মানুষ, আর আজ সেখানে দুই মাস ধরে স্কুল, কলেজ বন্ধ হাসপাতাল বন্ধ। ভাটপাড়া জ্বালাচ্ছে বিজেপির কর্মীরা। বিজেপির এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজ্যের মানুষকে সরব হতে বলেন তিনি।

আরেকদিকে সন্ত্রাস দমনের জন্য রাজ্যের পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিলেই পুলিশ কর্তাকে বদলি করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলীর চুঁচুড়াতে তেমনই নিদর্শন দেখা গেলো। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সরব হতেই বদলি হলেন চুঁচুড়া থানার আই সি অরিজিৎ দাশগুপ্ত। ওনাকে ১৫ দিনের মধ্যে চুঁচুড়া থেকে কালিংপং এ বদলি করল রাজ্য সরকার।

অরিজিৎ দাশগুপ্ত

চুঁচুড়া থানার রবীন্দ্রনগর দিন দিন সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে পরিণত হচ্ছে। উল্লেখ্য, চুঁচুড়া থানার দ্বায়িত্ব পাওয়ার পরেই আইসি অরিজিৎ দাশগুপ্তের নেতৃত্বে রবীন্দ্রনগর এলাকায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও অ্যাসিসটেন্ট পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। ওই দিনের অভিযানে দুষ্কৃতীরা ব্যাপক গুলি চালায়। পালটা পুলিশও দুষ্কৃতীদের গুলির জবাব দেয়। এই ঘটনার পরদিন ১৩ ই জুলাই শনিবার দুষ্কৃতীদের চাপে সাধারণ মানুষ ওই এলাকায় বিক্ষোভ ও পথ অবরোধে নামে।

এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই চুঁচুড়া থানার আইসি অরিজিৎ দাশগুপ্তের বদলির নির্দেশ আসে। এর আগে তিনি বজবজে কর্মরত ছিলেন। বজবজ থেকে ওনাকে চুঁচুড়ায় নিয়ে আসতেই মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ফের বদলি করা হয় ওনার, আর এবার পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কালিংপং এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.