রেলের বেসরকারিকরণের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয় নি। লোকসভায় বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এদিন লোকসভায় রেলের বেসরকারিকরণ সম্পর্কে রেলমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন রেলের বেসরকারিকরণের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয় নি।
এদিন সংসদে রেলমন্ত্রীকে রেলের বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন করা হয়। তাঁর উত্তরে তিনি লিখিতভাবে রেলমন্ত্রী জানান, “এখনই রেলের বেসরকারিকরণের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয় নি।” শোনা যাচ্ছিল, বেসরকারিকরণের মাধ্যমে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ায় দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস ট্রেনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করতে পারে রেল। এদিন, সে সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত কোন প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে বেসরকারিকরণ করার জন্য বাছা হয়নি।”
উল্লেখ্য, বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছিলেন, ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণ ও নয়া পরিকাঠামো নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় হবে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা।
কিন্তু সে তুলনায় রেল আয় করছে খুবই সামান্য। ফলে এই বিপুল অর্থ জোগান দিতে প্রয়োজন বেসরকারি বিনিয়োগের। তাই এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দাবি মেনে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সীতারমণ আরও জানিয়েছিলেন, যাত্রী পরিষেবা ও আধুনিকীকরণের জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তা রেলের নিজস্ব আয়ের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন বিদেশি বিনিয়োগের। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে অনেকেই বেসরকারিকরণের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছিলেন।
রেলের পরিকাঠামো নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, তথা দেশজুড়ে পণ্য জোগানের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত আনুমানিক খরচ হবে প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকা। যা শুধু রেলের আয় থেকে জোগান দেওয়া সম্ভব নয়।