প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীর এক ডজনের বেশি বুথে মাত্র তিন থেকে ১০ টি ভোট পেয়েছিলেন। বারাণসীর বেশিরভাগ বুথের হাল এরকমই ছিল ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। তবে যেই বুথ গুলোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এত কম ভোট পেয়েছেন। সেগুলো সবই মুসলিম বহুল বুথ বলে পরিচিত।
এবার ছয় জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিজেপির সদস্যতা অভিযানে এরকম বুথ গুলোতে বিশেষ করে নজর দেওয়া হচ্ছে। গোটা দেশে মোদী ঝড় চললেও এসব বুথে এসে ১০ টার বেশি ভোট পায়নি বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির সুত্র অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির কার্যবাহ সভাপতি জে.পি নাড্ডা এরকম বুথ গুলোতে জয়ের জন্য দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আর এর জন্য সদস্যতা অভিযানের সময় কর্মীদের ওই বুথ গুলোতে বেশি পরিমাণে কাজ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে ফরমান জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সদস্যতা প্রভারি শিবরাজ সিং চৌহান সমস্ত রাজ্যের নেতৃত্ব কে এই ব্যাপারে দিশা-নির্দেশ জারি করেছে।
উত্তর প্রদেশে বিজেপি ১৫ টি আসনে হেরেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি উত্তর প্রদেশের ওই ১৫ টি আসন এবং দেশ জুড়ে সমস্ত পরাজিত আসন গুলোতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অভিযান চালাচ্ছে।
বিজেপি জনসঙ্ঘ সংস্থাপক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর জয়ন্তীতে দেশ জুড়ে সদস্যতা অভিযান শুরু করেছে। প্রথম দফায় ৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সদস্যতা অভিযান চলবে। এরপর ৩১ আগস্ট থেকে সক্রিয় সদস্যতা অভিযান চালনো হবে। কোন নতুন সদস্য যদি পঞ্চাশ জন সদস্যকে দলে নিয়ে আসতে পারে, তাহলে তাঁকে সক্রিয় সদস্যতা দেওয়া হবে। সক্রিয় সদস্য সামান্য সদস্য থেকে আলাদা হবে। বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, সক্রিয় সদস্য সংগঠনের বিভিন্ন পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।