ভোটের ফল প্রকাশের পর এই প্রথম বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে কৈলাস, যোগ নড্ডার নির্দেশে

বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে রাজ্যেই দেখা যেত প্রায় সর্বক্ষণ। তবে সেই কৈলাসেরই বাংলায় আর দেখা মেলেনি ভোটের পরে। এদিকে ভোটে হারার পর কৈলাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফএটে পরেছিলের বঙ্গ বিজেপিরই একাংশ। কৈলাসের বিরোধিতায় পোস্টার পড়েছিল শহরে। এরই মাঝে কৈলাস ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। যাতে আরও চাপ বাড়ে কৈলাসের উপর। বঙ্গ রাজনীতি থেকে কৈলাসের অনুপস্থিতি ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। এহেন কৈলাস ফের যোগ দিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির অনুষ্ঠানে। ভোটের ফল প্রকাশের পর আড়াই মাস পর বঙ্গ বিজেপির অনুষ্ঠানে দেখা মিলল রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বর্ষীয়ান কেন্দ্রীয় নেতার। জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নির্দেশেই ফের বঙ্গ বিজেপির অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন কৈলাস।

শুক্রবার রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বৈঠকটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে কৈলাসের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেননও। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে।

তবে আচমকা এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক কেন? অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপির নির্ধারিত কর্মসূচি ঠিকভাবে পালিত হচ্ছে না রাজ্যে। এই বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আর নজর রাখার দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপির জাতীয় পর্যবেক্ষকদের উপর। নড্ডার কড়া নির্দেশের পরই তাই তড়িঘড়ি এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বৈঠকে কৈলাস নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ভোট পরবর্তী সময়ে সাংগঠনিক কাজে ঢিলেমি দেওয়া না হয়। বুথে বুথে দলীয় কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন পর্যবেক্ষক।

সেই মতো গুরুপূর্নিমা উপলক্ষেও গেরুয়া শিবিরে কর্মসূচি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক ও শিক্ষকদের সম্মান জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। এই বিষয়ে মালব্য নির্দেশ দিয়েছেন যে সম্মান জানানোর ছবিগুলি সবাই যেন সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন। এদিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলার চার মন্ত্রীর উপর। রাজ্যে ফিরে চার মন্ত্রীকেই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে জেলায় জেলায় পৌঁছে যেতে হবে। বিনামূল্যে টিকাকরণের বিষয়টিও রাজ্যে প্রচার করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.