রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে ফের মামলা জটিলতার বিশ বাঁও জলে পড়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া।
সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিক এবং প্রাথমিকে পুজোর আগে পরে মিলিয়ে একগুচ্ছ নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে গত ২১ জুন প্রকাশ করা হয় উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ তালিকা।
গত সোমবার উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উচ্চ প্রাথমিক এবং প্রাথমিকের সমস্ত নিয়োগ হবে শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে কোনও রকম লবি বরদাস্ত করা হবে না।
কিন্তু গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে শুভেন্দু লিখেছিলেন, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন উচ্চ প্রাথমিকের যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভাবে মেধার ভিত্তিতে তৈরি। কিন্তু অবাক করার মতো প্রশ্ন হল, মেধার নম্বরটা (মেরিট স্কোর) কোথায়? এরপর এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলাও করা হয়েছিল।
তখনই বোঝা গিয়েছিল ফের মামলা জটিলতায় জড়াতে পারে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। হলও তাই।
নম্বর ছাড়া মেধাতালিকা কীভাবে প্রকাশ করা হল? তা কতটাই বা গ্রহণযোগ্য? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
সরকারি সূত্রে ইন্টারভিউ পদ্ধতি নিয়েও বেশ কিছু পূর্বাভাস দেওয়া হয়। জানা যায়, তালিকা প্রকাশ করা হলেও উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ এখনই হবে না। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, গণপরিবহণ চালু হলে তবেই অফলাইন পদ্ধতিতে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। তার মধ্যেই ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের চৌকাঠে আটকে গেল।
এসএসসির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, কম নম্বর প্রাপ্তরা ইন্টারভিউ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের জায়গা হয়নি। প্রকাশিত তালিকা বাতিল করে নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হোক, এমন আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন নিয়োগপ্রার্থীরা। জানা গেছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২ জুলাই।