আমাদের সকলের আর জানতে বাকি নেই যে করোনা (Corona) একটি মারণ ব্যাধি। করোনা সংক্রমণ হলে প্রত্যেকের শরীরে তার প্রভাব আলাদা হতে পারে। করোনা সংক্রমণ একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয়, যাঁদের করোনা সংক্রমণ হয় তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশের সেরে ওঠার পরও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে প্রভাব, দুর্বলতার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। যদিও গবেষণায় দেখা গেছে যে যাঁদের শরীরে মৃদু সংক্রমণ হয়েছে তাদের অস্থি মজ্জার (bone marrow) কোষ দীর্ঘদিনের জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম।সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে অনেকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে উৎপাদিত অ্যান্টিবডি (Anti Body) করোনা প্রতিরোধ করে জীবন বাঁচিয়েছে। এই রিপোর্টে গবেষকরা বলেছেন অস্থি মজ্জায় উৎপাদিত দীর্ঘমেয়াদী অ্যান্টিবডি প্রস্তুতকারী কোষ করোনার সঙ্গে লড়ার প্রধান কারণ। গবেষণা থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে মৃদু করোনা সংক্রমণের ফলে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে সেটা দীর্ঘমেয়াদী। গবেষণায় বলা হয়েছে যে করোনা ভ্যাকসিন ও (corona vaccine) এই কাজটাই করে থাকে।

অ্যান্টিবডি ও প্লাজমা সেল (Plasma cell) কী?

অ্যান্টিবডি হলো একটি প্রোটিন যা সংক্রমক উপাদান চিহ্নিত করতে ও তাকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রমণের পর স্বল্পমেয়াদী কোষ যা প্লাজমা ব্লাস্ট নামে পরিচিত সেটি অ্যান্টিবডির প্রধান উৎস। কিন্তু এই কোষের কার্যকারিতা সংক্রমণ শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর থেকে চলে যায়।

কেন মৃদু করোনা সংক্রমণের ব্যক্তিদের এই সুবিধা

প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন যে করোনা সংক্রমণের ফলে অন্য ভাইরাল সংক্রমণের মত BMPC বিস্তার লাভ করবে। কিন্তু গবেষণার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তারা দেখতে পান যে করোনা ভাইরাস কোষ গঠনকে ব্যাহত করতে পারে। প্রাথমিক কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে করোনা সংক্রমণের অ্যান্টিবডি দীর্ঘায়িত হয়না। যখন দেখা যায় মৃদু করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ৭৭ জনের মধ্যে অ্যান্টিবডি প্রায় ৪ মাস পর্যন্ত ছিল। কিন্তু ধীর গতিতে হলে ১১ মাস তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি বর্তমান থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.