অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারের ‘বুস্টার ডোজ’, আটটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা, বিশেষ জোর স্বাস্থ্য, পর্যটনে

কোভিডে বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নামে প্যাকেজের অধীনে আটটি নতুন প্রকল্প সোমবার ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এক্ষেত্রে তিনি বাড়তি জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যে ও পর্যটনে। কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলির জন্য মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার লোন গ্যারান্টি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া দেড় লক্ষ কোটি টাকার এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমও ঘোষণা করেছেন। কোভিড অতিমহামারীকে একুশ শতকের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সংকট বলে ধরা হচ্ছে। কোভিডের মোকাবিলার জন্ন্য জনস্বাস্থ্য খাতে ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অতিমহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাভেল এজেন্সিগুলিকে ঋণ দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ট্যুরিস্ট গাইডদের ঋণ দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এমার্জেন্সি ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রকল্পে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি কো-ল্যাটারাল ফ্রি ঋণ পাবে। যাঁরা অল্প পরিমাণ অর্থ ঋণ নেবেন, তাঁদের থেকে সুদ নেওয়া হবে খুব কম হারে। গত বছর মে মাসে ঘোষণা করা হয় ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজ। ওই প্যাকেজে ২১ লক্ষ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারের বক্তব্য, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে বরাদ্দ টাকার পরিমাণ দেশের জিডিপির ১০ শতাংশের সমান। এর আগে জুনের মাঝামাঝি ২০২১ সালের মাসিক বুলেটিন প্রকাশ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাতে বলা হয়, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে ২ লক্ষ কোটি টাকা। কারণ অতিমহামারীর ফলে দেশের অভ্যন্তরে কমেছে চাহিদা। এরই মধ্যে আশার কথা হল, কৃষিতে উত্‍পাদন বাড়ছে। যে ধরনের পরিষেবাগুলিতে কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার প্রয়োজন হয় না, সেগুলিরও চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর শিল্পোত্‍পাদন এবং রফতানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাসের শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, কোভিড অতিমহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আসায় দেশের অর্থনীতিতে একপ্রকার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে স্বল্পমেয়াদে অর্থনীতির বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.