করোনা পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক পরিবহণের বকেয়া করা জমা নিয়ে নয়া ঘোষণা করল পরিবহণ দপ্তর। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কী বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়?
করোনা পরিস্থিতিতে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন অফিসও। এমনকী, রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ চলাকালীন মোটক ভেহিক্যালস অফিসগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলে বাণিজ্যিক গাড়িগুলির বেশকিছু কর বকেয়া রয়েছে। সরকারি নথি বলছে, এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখের পরে যে সমস্ত বাণিজ্যিক গাড়ি কর জমা করেনি তাঁদের জরিমানা দিতে হতে পারে। করোনা আবহে যা গাড়ির মালিক বা চালকদের উপর চাপ তৈরি করতে পারে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই বড় ঘোষণা করল পরিবহণ দপ্তর।
২৮ এপ্রিলের পর জমা না দেওয়ায় যাঁদের কর বকেয়া রয়েছে তাঁদের চিন্তা নেই। দপ্তর বলছে, জুলাইয়ের ৩১ তারিখের মধ্যে গাড়ির চালক বা মালিকরা ওই বকেয়া কর মিটিয়ে দিলে তাঁদের কোনও জরিমানা দিতে হবে না। ফলে কোভিড পরিস্থিতিতে গাড়ির চালক বা মালিকদের বোঝা কিছুটা কমবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। কার্যত বন্ধ গণপরিবহণ। বন্ধ ছিল সরকারি অফিসও। রাজ্য সরকারের নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুন থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সরকারি অফিস খুলতে শুরু করেছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর জমা করা যায়নি। এমন পরিস্থিতি জরিমানা দিতে হলে চাপ আরও বাড়ত। তাই তাঁদের চাপ কমাতেই এই ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। তবে এই সুবিধা পাবেন এ রাজ্যে রেজিস্টার করা গাড়িগুলিই।