ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতায়। একই দিনে দুটি এমন ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুর অঞ্চল৷ আর দ্বিতীয়টি বাইপাস সংলগ্ন পাটুলিতে। প্রথম ঘটনাটি অবশ্য জমা জলের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়নি, বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার ছিঁড়ে পড়ে যুবকরে শরীরে৷ যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ তবে দ্বিতীয় ঘটনার কারণ অবশ্য জমা জল। বাড়ির সামনেই জমে থাকা জলে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ খোয়াল কিশোর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ওই কিশোর জমা জলের মধ্যে মাছ ধরতে গেলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এমনকী অনেকের এও দাবি, জমা জল নাকি এতটাই ইলেক্ট্রোকিউটেড হয়ে পড়েছিল মাছ, সাপও মরে গিয়েছে ওই জায়গায়। ফলে স্বাভাবিক কারণেই কলকাতার জল জমা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। যদিও গতকালই কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বছর খানেকের মধ্যেই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন শহরবাসী।
অপরদিকে, হরিদেবপুরের বাইশ বিঘা রোডে এদিন সকালেই ঘটে আরেক মর্মান্তিক ঘটনা। বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার ছিঁড়ে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের নাম মানিক বারুই (৩৬)৷ জোকার গোপালনগরের বাসিন্দা মানিক পেশায় গাড়ি চালানোর পাশাপাশি জিম ট্রেনার হিসেবে কাজ করতেন৷
প্রসঙ্গত, গত মাসেই কলকাতায় রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ফরাক্কার বাসিন্দা এক যুবকের৷ সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়েছিল রাজ্যে। ঘটনার দায় কার, তা নিয়ে চাপানউতোর চলেছিল পুরসভা এবং সিইএসসি-র মধ্যে৷ হরিদেবপুরের ঘটনাতেও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকার বিদ্যুতের খুঁটিগুলির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না৷ সেই গাফিলতিরই মাশুল দিতে হল যুবককে৷ ময়নাতদন্তের পর যুবকের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷