করোনার প্রতিষেধক, ওষুধ এবং অন্যান্য উপকরণের উপরে জিএসটি (GST) কমানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজনীয় ওষুধ, কিছু হাসপাতালের সরঞ্জাম এবং অন্যান্য আইটেমের উপর ট্যাক্স কমানো হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জন্যে ব্যবহৃত ওষুধে লাগবে না কোনো ট্যাক্স। জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের(Black Fungus) ওষুধ টোকিলিজুমাব এবং আম্ফোটেরিকিন বি এর মতো ওষুধের জন্য কোনও কর নেওয়া হবে না। অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে জিএসটির হার কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে এবং তাপমাত্রা পরীক্ষার সরঞ্জামের উপর ৫ শতাংশ জিএসটি কমানো হয়েছে। বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সে জিএসটি হার ২৮ শতাংশ। তবে ভ্যাকসিনের (Vaccine) উপর ৫ শতাংশ জিএসটি বজায় থাকলো। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বলেন, যে সমস্ত উপাদানের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামীকালই জারি করা হবে। এই ছাড় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত থাকবে। জিএসটি কাউন্সিলের ৪৫ তম বৈঠক একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
করোনার ভ্যাকসিনে জিএসটি মকুব করার দাবি ক্রমেই তীব্র হচ্ছিল, তবে কাউন্সিল করোনার ভ্যাকসিনের উপর ৫% হারে জিএসটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেমডেসিভিরের জিএসটি হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি চাইছিল করোনা প্রতিষেধকের জিএসটি ৫% থেকে শূন্যে নামানো হোক। কারণ, রাজ্যকেই ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য প্রতিষেধক কিনতে হচ্ছিল। কিন্তু সেই কর কমানো নিয়ে আপত্তি ছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, সকলের জন্য প্রতিষেধক কেন্দ্রই কিনবে। এখন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি বলছে, আর তো রাজ্যকে প্রতিষেধক কিনতে হবে না। কেন্দ্রই সব কিনবে। এ বার তা হলে মোদী সরকারই ঠিক করুক, তারা কতটা জিএসটি মেটাতে চায়|