মমতা দলিত বিরোধী, কাঁকসায় বললেন জে পি নাড্ডা

 ‘ মমতা ব্যানার্জী ও তৃণমূল গুন্ডাবাজির পাশাপাশি দলিত বিরোধী। ২ মে বিজেপি র সরকার গঠনের প্রথম ক্যাবিনেটে বাংলার কৃষকরা তিনবছরের ১৮ হাজার টাকা কৃষক সম্মাননিধি পাবে। এই নববর্ষ সন্ত্রাস থেকে বেরিয়ে উন্নয়নের নববর্ষ। এই নববর্ষে বাংলায় ফুটবে পদ্ম।” কাঁকাসার পানাগড়ে রোড-শো যোগ দিয়ে এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমন করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি তিনি কাঁকসার মাধব মাঠে এক দলিত পরিবারে চা’ জলখাবার খেলেন।উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল গলসী বিধানসভার ভোটগ্রহন। তার আগে জোরকদমে প্রচার শুরু হয়েছে এলাকায়। শুক্রবার পানাগড়ে গলসীর বিজেপি প্রার্থী বিকাশ বিশ্বাসের সমর্থনে রোড-শো ছিল। তাতে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এছাড়াও ছিলেন, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ প্রমুখ। পানাগড় রনডিহা মোড় থেকে বিশেষ ট্যাবলোতে রোড -শো শুরু হয়। সামিল ছিল কয়েক হাজার বিজেপিকর্মী সমর্থক। বিজেপিকর্মীদের উৎসাহ উচ্ছাস ছিল নজরকাড়া। রোড-শোর ট্যাবলো থেকে জেপি নাড্ডা বক্তব্যে তৃণমূল ও মমতা ব্যানার্জীকে কড়া আক্রমন করেন। তিনি বলেন,” যে উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে, সেটা বিকাশ আর বিশ্বাসের। মমতা ব্যানার্জীর তোলাবাজি, তোষন, বালি ও কয়লা কেলেঙ্কারিকে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জবাব দিতে হবে। মমতা ব্যানার্জী, মা-মাটি-মানুষের নামে ভোট নিয়ে মা-মাটি-মানুষের জন্য চিন্তা করেনি। মা-বোনেদের অত্যাচার করেছে। অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে গরীব মানুষকে।” তিনি আরও বলেন,” এই নববর্ষ সন্ত্রাস থেকে বেরিয়ে বিকাশের দিকে চলার নববর্ষ। এই নববর্ষে বাংলায় ফুটবে পদ্ম।” তিনি আরও বলেন,” মমতা ব্যানার্জী ও তৃণমূল গুন্ডাবাজির পাশাপাশি দলিত বিরোধী।তৃণমূল বলছে দলিতরা শুধু চাইতে থাকে। আর একটা শব্দ বলেছে, যেটা বলা যাবে না।” তিনি বলেন,” আগামী ২ মে বিজেপির সরকার গঠনের প্রথম ক্যাবিনেটে বাংলার কৃষকরা তিনবছরের ৬ হাজার টাকা করে ১৮ হাজার টাকা কৃষক সম্মাননিধি পাবে। বেকার যুবকরা রোজগার পাবে। রাজ্যে মমতা ব্যানার্জী আয়ুষ্মান যোজনা আটকে রেখেছিল। সেটা চালু হবে।” এদিন রোড-শো শেষে পর কাঁকসার মাধবমাঠে ছোট্টু বাগদী নামে দলিত পরিবারে চা- জলখাবার খান জেপি নাড্ডা। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, ভুজিয়া, ফল আহারও ছিল। বিশ্বের সর্ব বৃহৎ দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি এলাকায় আসার খবর চাউর হতেই সাজোসাজো রব। গোটা এলাকায় দলীয় পতাকায় মুড়ে  ফেলেছিল বিজেপিকর্মীরা। একইসঙ্গে চরম উৎসাহি ছোট্টু বাগদী ও তার পরিবার। সকাল থেকে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন। উল্লেখ্য, ছোট্টু বহু পুরোনো বিজেপি কর্মী। কাঁকসা পঞ্চায়েতের ৬৪ নং বুথে নয়নশুকতলায় বাড়ি। মাটির বাড়ি। পেশায় কাঠমিস্ত্রী। অভাব অনটনে কোনভাবে সংসার চলে। এদিন জেপি নাড্ডাকে সরবত – চা পান করানোর পর তিনি বলেন,” প্রথমে দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজন করার কথা ছিল। কিন্তু সময় কম থাকায় সেটা বদল হয়েছে। সরবত চা খেলেন। সেই মতো চা, বিস্কুট, ভুজিয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছিল।” ছোট্টুর স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী জানান,” খুবই খুশী। নিজের হাতে চা তৈরী করে খাওয়ালাম। অপ্রত্যাশিত স্বপ্নপুরণ হল।” তবে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতির কাছে ছোট্টু তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে জানান,” বিজেপি করায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেয়নি রাজ্যের শাসকদল। জোটেনি স্বচ্ছভারত মিশেনের শৌচাগার। গত দেড় বছর ধরে এলাকায় ১০০ দিনের কাজ দেয়নি। পানীয় জলের কষ্ট। আমাদের মতো তপশীলি জাতিদের যেভাবে বঞ্চনা করছে, তাই তৃণমূলের এই অপশাসন থেকে মুক্তি চাই। আর রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসুক, এটাই চাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.