রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যস্থার হাল ফেরাতে উদ্যোগী রাজ্যপাল৷ জট কাটাতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলুন মুখ্যমন্ত্রী৷ নবান্নে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷
সোমবার রাতের ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ রাজ্যপালের চিঠিতে সেই দাবিও করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে৷
এদিন নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ সাংবাদিক বৈঠক চলার মাঝেই রাজ্যপালের চিঠির খবর এসে পৌঁছায়৷ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর কথা বয়েছে৷ ব্যাহত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে সরকার কি কি পদক্ষেপ করেছে তা রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে৷ রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তাতে আশ্বস্ত বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিক৷ দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবে শুরু হোক৷’’ এর আগে এসএসকেএম-এ গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ডাক্তাররা কর্মবিরতি না ওঠালে এসমা জারি করা হবে৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও তা জারি হয়নি৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সমগ্র দেশজুড়ে এসমা জারির উদাহরণ রয়েছে৷ কিন্তু পশ্চিমঙ্গ সরকার মানবিক বলেই তা লাগু করেনি৷ মেডিক্যাল কাউন্সিল ওদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে৷ আমাকে শত অপমান সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করেছি৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আন্দোলকারীদের সব দাবিই সরকার মেনে নিয়েছে৷ এরপরও কিছু দাবি থাকলে তাও আলোচনার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে৷
গত পাঁচ দিন ধরে ব্যাহত রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবে৷ জট কাটাতে আগেও উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি৷
বৃহস্পতিবার, রাজ্যের মূল চার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল৷ তাঁর কাছে গিয়ে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জানান আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল৷
এলআরএসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে হবে আন্দোনকারীদের সঙ্গে৷ দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা৷ চরম হয়রানিতে রোগী ও তাদের পরিবার৷ এনআরএসকাণ্ডের জের পড়েছে সমগ্র দেশের চিকিৎসা পরিষেবায়৷ এই ঘটনায় শনিবারই রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷