রাজ্য জুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নার ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার টালমাটাল অবস্থা। অনেক রোগীর পরিজনরা অভিযোগ করছেন, চিকিৎসা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকী অ্যাম্বুলেন্সকেও হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। তারমধ্যেই এক অন্য ছবি দেখা গেল সেই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আন্দোলনের মধ্যেও মরণোত্তর দেহদানের সাক্ষী থাকল কলকাতা। আর সেই দেহদানে সাহায্য করলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয় ৭২ বছরের প্রতিমা মুখোপাধ্যায়ের। মৃত্যুর আগেই মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালে যায় তাঁর শববাহী গাড়ি। এই ঘটনায় প্রথমে আন্দোলনরত ডাক্তাররা কিছুটা অবাক হন। তারপরে পুরোটা জানার পরে বিকেলেই এনআরএস হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে তাঁর দেহদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়।
পুরো প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী আন্দোলনরত অন্যান্য বিভাগের জুনিয়র ডাক্তাররাও সেখানে ছিলেন। এই পুরো ঘটনার পর ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৃতার বাড়ির লোকেরা। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন কাগজপত্র এখনও হাতে পাননি তাঁরা। কাগজপত্র দেওয়া হবে সোমবার।
জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার রাত থেকেই উত্তাল এনআরএস হাসপাতাল। সুরক্ষার দাবি তুলে ধর্নায় বসেন তাঁরা। ধীরে ধীরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। তাঁদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন থামবে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তারমধ্যেই মরণোত্তর দেহদানের এই ঘটনা ফের একবার ডাক্তারদের দায়িত্ববোধেরই পরিচয় দিল।