হাওড়ায় মতার রোড শো-তে ষাঁড়ের তাণ্ডব, লণ্ডভণ্ড রোড শো

শনিবার ডোমজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচমকা ঢুকে পড়লো একটি ষাঁড় । সে ঢুকেই তাণ্ডব চালাতে শুরু করে রোড শো-তে। এই তাণ্ডব সে চালায় প্রায় পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে। রোড শো -তে তখন হুলুস্থুলু অবস্থা। পুলিশ থেকে দলীয় সমর্থক, কেউই তখন বাগে আনতে পারছিলেন না ষাঁড়টিকে। উত্তর হাওড়ার পিলখানায় তখন তৃণমূলের রোড শো-র দিশেহারা অবস্থা। ষাঁড়ের বেপরোয়া আচরণে ও দৌড়ে নাকাল মিছিলের তৃণমূল কর্মীরা। ষাঁড়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া চেষ্টা শুরু হলো। এই হুড়োহুড়ির মধ্যে অনেকে রাস্তায় পরেও গেলেন। অবশেষে বহু চেষ্টার পর পুলিশের লাঠির ঘায়েই ষাঁড়টি কাহিল হলো।

তবে বিজ্ঞানী অশোক সরকার জানান, “মানুষের চাইতে অনেক বেশি মাত্রায় সাধারণ প্রাণীরা শব্দ শুনতে পায়। উচ্চ কম্পাঙ্কর শব্দ কুকুর, ষাঁড় ইত্যাদি প্রাণীদের কর্ণকুহরে বেশি মাত্রায় প্রবেশ করে। তাই বলা যায় মানুষের থেকে প্রায় ৮ গুণ বেশি শব্দ এইসব প্রাণীরা শুনতে পায়। তাই তৃণমূলের রোড শো-তে কর্মীদের স্লোগান, খেলা হবে গান শুনে ষাঁড়ের আতংকিত হয়ে এদিক ওদিক দৌড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়াটাই স্বাভাবিক। আসলে মানুষের এই আচরণে প্রাণিকুল আতংকিত হয়ে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো-এর আগেই বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের রোড শো হয়ে যায় এই একই রাস্তায় । আর এই জাতীয় ষাঁড়ের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোই অভ্যাস। তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে এতো মানুষের কলরব, তীব্র স্বরে সাউন্ড বক্সে গানের আওয়াজ শুনে ষাঁড়টির মিছিলে ঢুকে পড়ার যথেষ্ট কারণ আছে।”

শনিবার দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো ছিল হওড়ায় ইছাপুর থেকে রোড শো শুরু হয় । জিটি রোডের কাছে রোড শো পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু আচমকা শিবের বাহন ষাঁড়ের আগমন ও তাণ্ডব শুরু হল একেবারে রোড শো-র শেষ পর্যায় । শালকিয়া পৌঁছনোর মুখে জিটি রোডের উপর পিলখানার কাছে হঠাৎই জনবহুল মিছিলে ঢুকে পড়ে মহাদেবের প্রিয় ষাঁড়টি। মিছিলে ঢুকেই তৃণমূল কর্মীদের স্লোগান, শব্দের দাপটে এক প্রকার হতচকিত হয়ে যায় ষাঁড়টি। তারপরই ভিড় থেকে পালাতে লাগাম, ছাড়া দৌড় শুরু করে সে । বিশালাকারের ওই ষাঁড়ের তাণ্ডবে ভয়ে মিছিলের মানুষেরা ও পুলিশ আতংকিত হয়ে পড়ে । লাঠি, দড়ি দিয়ে ষাঁড়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করলেও প্রাথমিক ভাবে কোনও সুরাহা হয়নি । উল্টে উপস্থিত জনতার দিকে শিং উঁচিয়ে সে তেড়ে যেতে থাকে । দড়ি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে দড়িটিও ছিঁড়ে যায়। বেড়ে যায় বিপদ। শেষে কোনও মতে পুলিশের লাঠির ঘায়ে ষাঁড়টি পালায়। তবে কেউ এই ঘটনায় আহত হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.